দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবার আমাদের সামনে হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও দোযখ হতে নাযাতের বার্তা নিয়ে পবিত্র মাস মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার মধ্যদিয়ে দুনিয়ার তামাম মুসলমানদের জন্য এ মাস মুক্তির পথ প্রদর্শক।
আজ পহেলা রমজান। এগারোটি মাসের নিয়মকে বদলে দেয় এ রমজান মাস। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভ করা সম্ভব এই পবিত্র মাসে। হিংসা, হানাহানিসহ সকল রকম অবিচার-জুলুম থেকে মানুষ বিরত থাকতে পারে পবিত্র এ মাসে। আর তাই এই মাসটিকে বলা হয় সিয়াম সাধনার মাস। মানুষের চোখ, কান, হাত, মুখ সব কিছুই যেনো নিরাপদ থাকে এবং মানুষের কল্যাণে ব্রত থাকে সেই শিক্ষা দিয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এক মাস রোজা রাখার মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মাসে আখিরাতের অশেষ নেকি হাসিল করবেন। দুনিয়াতেও পাবেন অফুরন্ত নিয়ামত।
ভোরে সেহরী খাওয়া এবং সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থেকে মাগরিবের আযানের সময় ইফতারি করার মাধ্যমে রোজার সমাপ্তকরণ এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। আবার রাতে তারাবিহের নামাজ আদায় মুসলমানদের জন্য এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে থাকে। ইফতারির সময় হরেক রকম ইফতারি সাজিয়ে পরিবারের সকলকে নিয়ে ইফতারি করা এই বিশেষ বার্তা বহন করে থাকে।
মহান রাব্বুল আলামিত এই রমজান মাসকে তিনটি ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন। প্রথম ১০ দিন রহমত। দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত এবং তৃতীয় ১০ দোযখ হতে নাযাতের। আল্লাহ বলেছেন, এ মাসে তোমরা যে কোন ভালো কাজ করলে অন্য সময়ের থেকে ৭০ গুন বেশি ছওয়াব পাবে। এর মাধ্যমে পৃথিবীতে মহান রাব্বুল আলামিন এই বার্তা প্রদান করেছেন যে, এ মাস একটি রহমতের মাস। এ মাসে বান্দা ভালো কাজের মাধ্যমে দুনিয়ায় এবং আখিরাতের বহুত ফায়দা নিতে পারবেন।
আমাদের আশা পবিত্র এই মাসের সেই মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভে আমরা সবাই সচেষ্ট হবো। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সেই তৌফিক দান করুন-আমিন।