দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন কিছু ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে। ভারতের উত্তর প্রদেশে মাটিতে পুঁতে ফেলার পর এক কন্যাশিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অত্র এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের অনেক অঞ্চলে মেয়ে শিশুর জন্মগ্রহণ করাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখা হয় না। যে কারণে মাঝে মধ্যেই এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এই ঘটনাও হয়তো এমন কোনো কারণেই ঘটেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন কিছু ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে। ভারতের উত্তর প্রদেশে মাটিতে পুঁতে ফেলার পর এক কন্যাশিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অত্র এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের অনেক অঞ্চলে মেয়ে শিশুর জন্মগ্রহণ করাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখা হয় না। যে কারণে মাঝে মধ্যেই এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এই ঘটনাও হয়তো এমন কোনো কারণেই ঘটেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
গত ১৪ অক্টোবর স্থানীয় পুলিশ প্রধানের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রামবাসীরা সদ্যপ্রসূত এক মৃত শিশুকে ‘কবর’ দিতে গিয়ে ওই জীবিত শিশুটিকে খুঁজে পেয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের এক ব্যক্তি জন্মের পরপরই মারা যাওয়া নিজের সন্তানের জন্য ‘কবর’ খুড়ছিলেন। তখন হঠাৎই একটি মাটির পাত্রে কোদালের কোপ লাগে। সেটি তুলেই তিনি দেখেন, ভেতরে ফুটফুটে একটি জীবিত কন্যাশিশু। পরে শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি বর্তমানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রধান অভিনন্দন সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে প্রায় ৩ ফুট গভীর একটি গর্তে জীবন্ত পুঁতে রাখা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়ে হয়ে জন্মানোর কারণেই হয়তো শিশুটিকে এভাবে মেরে ফেলতে চেয়েছে তারই বাবা-মা। তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ভারতে লিঙ্গ বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট আকার ধারণ করা হয়েছে। দেশটিতে নারীরা সামাজিকভাবে অনেকটাই বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন। ভারতে মেয়েদের পরিবারের বোঝা হিসেবে দেখা হয়, বিশেষ করে দরিদ্র সমাজে এটি বেশি দেখা যায়। পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেওয়ায় প্রতিবছর ভারতে লাখ লাখ শিশু ভ্রুণ অবস্থাতেই প্রাণ হারাচ্ছে। জন্মের পরপরই কন্যাশিশুকে হত্যার ঘটনাও দেশটিতে নতুন কিছু নয়।