দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০ জুন ছিলো বিশ্ব শরণার্থী দিবস। মাহবুবুল এ খালিদ শরণার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা জানালেন তার ৩ গানে।
শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) প্রতি বছরই এই দিবসটি পালন করে থাকে।
ইউএনএইচসিআর-এর তথ্যদমতে, পুরো পৃথিবীর প্রায় ৮ কোটি মানুষ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত। এর মধ্যে ২০১৯ সালেই ১ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশেও শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমার হতে জোরপূর্বক বিতারিত হয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী।
বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের দুর্দশায় ব্যথিত মানবদরদী কবি, গীতিকার ও সুরকার হলেন মাহবুবুল এ খালিদ। শরণার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশে তিনি ৩টি গান লিখেছেন। যেগুলোর শিরোনাম ‘রোহিঙ্গা পিপল’, ‘উদ্বাস্তু’ ও ‘সেভ দ্য প্যালেস্টাইন’। তার এই গানগুলোতে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় বিশ্ববিবেক জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই সবগুলো গানেরই সুর দিয়েছেন প্রয়াত জনপ্রিয় সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সমবেত কণ্ঠে ‘রোহিঙ্গা পিপল’ গানটি গেয়েছেন দিনাত জাহান মুন্নী, রাজিব, স্মরণ, এলিটা করিম, রুমানা আক্তার ও রিতু হাসনাত।
অপরদিকে ‘উদ্বাস্তু’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লুইপা, টিনা মোস্তারী ও মেহেদি হাসান। ‘সেভ দ্য প্যালেস্টাইন’ গানটি গেয়েছেন এই প্রজন্মের দুই প্রতিভাবান শিল্পী কোনাল ও কিশোর দাস।
গান ৩টি মাহবুবুল এ খালিদের সংগীতবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘খালিদসংগীত ডটকম’ (www.khalidsangeet.com)-এ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও ভিডিও মুক্তি দেওয়া হয়েছে ইউটিউবে ‘খালিদ সংগীত’ চ্যানেলেটিতে।
এ সম্পর্কে গীতিকার মাহবুবুল এ খালিদ একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, একবিংশ শতাব্দিতেও জন্মভূমি হতে বিতারিত হওয়ার মতো ঘটনা বিশ্ববিবেকের জন্য সত্যি দুঃখজনক একটি ঘটনা। শরণার্থী বা বাস্তুচ্যুত প্রতি চরম নির্যাতনে মানবতা আজ ভূলুন্ঠিত হয়েছে।
সবারই রয়েছে সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার। বিশ্ববিবেক জেগে উঠলে সারা পৃথিবী হতে জাতিগত নির্যাতন বন্ধ হবে। সব শরণার্থী পাবে তাদের নায্য অধিকার।
যুদ্ধ বা হিংসা নয়, ভালোবাসারই জয় হয়। ধর্ম, বর্ণ, জাতিভেদ নয়, সবার ওপরে মানুষ ও মানবতার জয়। এই গান ৩টি এমন বার্তা প্রকাশ করেছে। আশা করি শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় এই গানগুলো মানুষকে আরও উৎজীবিত করবে।
উল্লেখ্য যে, শুধু রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনই নয়, মাহবুবুল এ খালিদের গান এবং কবিতায় পাওয়া যায় পৃথিবীর সব নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান। তিনি জনসচেতনতা, প্রকৃতি এবং দেশ, দেশাত্মবোধ, মানবপ্রেম, ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব, খেলাধুলা ইত্যাদি অসংখ্য বিষয় নিয়ে বহু গান লিখেছেন।
‘খালিদ সংগীত’নামে ওয়েবসাইট থেকে যে কেও এসব গান শুনতেও পারেন। ডাউনলোড করতে পারেন গানগুলোর অডিও, মিউজিক ট্র্যাক বা রিংটোন।
দেখুন ভিডিও গানটি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।