দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সরবরাহ করা পানিতে বিরল প্রজাতির ‘মগজখেকো’ অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। কী সেই জীবাণু?
বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের ৮টি শহরে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই ভয়ানক অ্যামিবা সন্ধান পাওয়ার পরেই টেক্সাস কমিশন অন এনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটির পক্ষে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, ব্রাজোসপোর্ট ওয়াটার অথরিটি’র সরবরাহ করা পানি যেনো এখন আর কেও ব্যবহার না করে। কারণ হলো তাদের সরবরাহ করা পানির মধ্যে নাইগ্লেরিয়া ফোলেরি নামে একটি বিরল প্রজাতির অ্যামিবার (জীবাণু) সন্ধান পাওয়া গেছে। এককোষী ওই প্রাণীটি মূলত মানুষের শরীরে ঢুকে মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ধ্বংস করে দিয়ে থাকে। বিষয়টি সম্পর্কে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সূত্রে বলা হয়েছে যে, মগজখেকো এই অ্যামিবাটি নদী, পুকুর, হ্রদ কিংবা সুইমিং পুল যে কোনও পানিতেই এটি থাকতে পারে। উষ্ণ পানি হলে তো কোনো কথাই নেই, দ্রুত বংশবৃদ্ধি কিংবা কোষ বিভাজন করে এই অ্যামিবারা। সেইজন্য উষ্ণ প্রস্রবণগুলিতে এদের দেখা পাওয়া যায় অনেক বেশি। শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি এলাকায়, দূষিত পানিতেও দেখা পাওয়া যায় এদের।
সিএনএন এর এক খবরে বলা হয়েছে যে, দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করা সুইমিং পুল কিংবা ক্লোরিনেটেড নয় এমন বদ্ধ পানিতে খুব দ্রুত ছড়ায় এই ধরনের অ্যামিবা। এটি কখনও খালি চোখে ধরা যায় না। এমনিতে এটি নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা নেই। তবে যদি নাক দিয়ে কোনওভাবে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে, তাহলে মগজের দফারফা করে ছাড়বে এই অ্যামিবা। নিমেষেই স্নায়ুকোষ ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। শিশু হলে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু ঘটবে, প্রাপ্তবয়স্ক হলে খানিকক্ষণ খাবি খেয়ে তারপর মৃত্যু ঘটবে।
উল্লেখ্য, আজ নয়, সেই ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি হ্রদের পানিতে প্রথম এই মগজখেকো অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিলো। ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, আমেরিকায় ১৯৬২ সাল হতে এই অ্যামিবায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৪৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। যার মধ্যে মাত্র ৪ জন এর হাত থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছেন। ২০১২ সালে পাকিস্তানেও এই অ্যামিবার কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।