দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হৃদয় যার আছে তার হৃদয়ে নানা সমস্যা থাকবে সেটিই স্বাভাবিক বিষয়। তবে এই হৃদয় মাঝে মধ্যে এমনভাবে ভেঙ্গে যায় যাতে করে আমরা বিমর্ষ হয়ে পড়ি। গবেষকরা বলেছেন, ব্রেইন ট্রেইনিং ভগ্ন হৃদয়ের কষ্ট দূর করতে পারে!
একজন স্নায়ুবিজ্ঞানী মত দিয়েছেন যে, অনলাইনে বিভিন্ন টেস্টের মাধ্যমে মস্তিস্ককে প্রশিক্ষিত করতে পারলে ব্রোকেন হার্টের কষ্ট কমতে সাহায্য করতে পারে। স্নায়ুবিজ্ঞানী মত প্রদান করেন যে, কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার মস্তিষ্ককে রিপ্রোগ্রাম করতে সক্ষম হবেন। বড় ধরণের কোনো ব্রেক আপের পরেও জীবন চালিয়ে যাওয়াও আপনার পক্ষে সম্ভব হবে। মাতাল হয়ে টেক্সট পাঠানো কিংবা বিশ্রী গালাগালি করে ভয়েস মেইল পাঠানোকে আপনি বন্ধ করতে পারবেন।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বারবারা সাহাকিয়ান, যিনি আবেগীয় ও আচরণগত ত্রুটির স্নায়ুগত ভিত্তি নিয়ে গবেষণা করেন, তিনি সাধারণত এই উপায়ে কম্পালসিভ বিহেভিয়র রয়েছে এমন মানুষদের নিরাময় করতে সাহায্যও করেন। তিনি বলেন, এই একই উপায়ে বড় কোনো ব্রেক আপের পর মুষড়ে পড়া মানুষদের আত্মনিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করা সম্ভব কেবলমাত্র তাদেরকে কম্পিউটারে সহজ কিছু এক্সারসাইজ করতে দেওয়ার মাধ্যমে।
এই ধরনের কম্পিউটারাইজড টেস্টগুলো খুব সহজ। যেমন কম্পিউটারের স্ক্রিনে বাম ও ডান দিকের আলোর ঝলকালনির দিকে প্রতিক্রিয়া দেখানো ও হুইসেলের মতো শব্দ হওয়া মাত্রই তা বন্ধ করে দেওয়া। মনে করা হয়ে থাকে যে, এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স আরও শক্তিশালী হয়। এটি মূলত মস্তিষ্কের এমন একটি অঞ্চল যা নির্বাহী কাজ ও নিস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত। সাহাকিয়ান আরও বলেন যে, মস্তিষ্কের এই অংশটিও পেশীর মতোই একইভাবে ব্যায়াম করানো সম্ভব, আবেগীয় স্ট্রেসের প্রতি প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতাকে আরও বাড়ানো যায়।
অধ্যাপক সাহাকিয়ান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ফ্রন্টাল লোব বিভিন্ন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেটি ব্রেইন ট্রেইনিং টাস্কই হোক কিংবা মানুষের হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার স্মৃতিকে রোমন্থন করাকে একেবারে বন্ধ করাই হোক।
কখনও কখনও অবসেসিভ বিহেভিয়র কিংবা একগুঁয়ে আচরণও উপকারী হতে পারে, যেমন শিশুর যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে বা সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে। তবে এই আচরণ সমস্যা তৈরি করে তখন, যখন সম্পর্কে ভাঙ্গন দেখা দেয় ও আমরা মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাই।
অধ্যাপক সাহাকিয়ান মনে করেন, প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সকে প্রশিক্ষিতও করা সম্ভব, মস্তিষ্কের আবেগপ্রবণ অঞ্চলে ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের বিষয়টিকে জিইয়ে রাখা কিংবা উত্তেজিত হয়ে টেক্সট পাঠানোর বিষয়টিকেও সামলাতে সাহায্য করার জন্য। এতে সময় লাগতে পারে ও এমন মানসিক দক্ষতা অর্জন করাও বেশ কঠিন, বিশেষ করে ভালোবাসার বন্ধন যখন ছিন্ন হয়ে যায়। তবে এটি মানুষের মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে এর প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাওয়ার জন্য ও অন্য বিষয়েও। তবে এখনও এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে তিনি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।