দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একজন দুর্বল। তিনি যুদ্ধ বাধাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র চীনের সরকারি এক উপদেষ্টা।
শেনঝেনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল অ্যান্ড কনটেমপোরারি চায়না স্টাডিজের’ ডিন এবং দেশটির সরকারি ওই উপদেষ্টা ঝেং ইয়ংনিয়ান সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন। চীনা এক সংবাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর দিয়েছে।
জো বাইডেনকে লক্ষ্য করে ঝেং ইওঙ্গনিয়ান বলেছেন, ‘তিনি নিশ্চিতভাবে খুব দুর্বল একজন প্রেসিডেন্ট। যদি তিনি দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হন তাহলে কূটনীতিক ফ্রন্টে কিছু করবেন। চীনের বিরুদ্ধেই কিছু করবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার ব্যাপারগুলোতে আগ্রহী নন, তবে তিনি যুদ্ধে আগ্রহী নন। তবে বাইডেন একেবারেই তার বিপরীত। তাই ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ শুরু করতে পারেন’।
ঝেং ইওঙ্গনিয়ান এই বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, চীনকে অবশ্যই এই মায়া ছাড়তে হবে যে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় চীনের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক আরও উন্নতি লাভ করবে। তবে ওয়াশিংটনের কঠোর অবস্থানের জন্য বেইজিংকে প্রস্তুতও থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কখনও ভালো দিনের আশা করা যাবে না। যে মার্কিন-চীন শীতলযুদ্ধ বিগত কয়েক বছর ধরে চলে আসছে, তা রাতারাতি কিন্তু অদৃশ্য হয়ে যাবে না। চীন সরকারেরও উচিত, মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রতিটি সুযোগকে কাজে লাগানো।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য, মানবাধিকার, মহামারী করোনা ভাইরাস সহ নানা ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক মারাত্মক বৈরি রূপ নিয়েছিলো। চীনের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়মিত বিষোদগার করে গেছেন। করোনা মহামারীর জন্য সরাসরি চীনকেই দায়ী করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি জনপ্রিয় চীনা অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অর্থনৈতিকভাবে এক ধরনের অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জিতেছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। এরপরও চীনা পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইডেনের সময় চীন-মার্কিন উত্তেজনা হয়তো হ্রাস পাবে না। বরং বাইডেন যুদ্ধনীতি গ্রহণ করতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।