দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও প্রকাশ্যে এসেছে ইসরায়েলের গভীর রাজনৈতিক বিভাজন। প্রায় ৬ মাস পর ইসরায়েলের শহরগুলোতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে এমন ব্যাপক বিক্ষোভ হলো।
চলমান যুদ্ধ ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তাদের সংকল্পকে আরও শক্তি দিয়েছে।
এই সময় তেল আবিব, জেরুজালেম, সিজারিয়া, রানানা ও হার্জলিয়াতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। জেরুজালেমে শহরের একটি মহাসড়ক বেগিন বুলেভার্ড অবরোধকারী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করে। -খবর: বিবিসির।
এই বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ ও আগাম নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান উঠে। একইসঙ্গে গাজায় এখনও বন্দী ১৩৪ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার দাবিও জানানো হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই বন্দীদের অনেকেই মারা গেছেন। বন্দীদের স্বজনদের পাশাপাশি প্রতিবাদকারীদের বড় ভয় হলো এভাবে আরও অনেককেই হয়তো প্রাণ দিতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা ও নেতানিয়াহুর সমালোচকরা বলছেন, গণতন্ত্রের শত্রুরা ইতিমধ্যেই তার সরকারের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। যারমধ্যে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের নেতৃত্বে ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টি হলো অন্যতম। বেনজামিন নেতানিয়াহু একসময় বলেছেন যে, তিনিই একমাত্র তার দেশকে নিরাপদ রাখতে পারেন। অনেক ইসরায়েলি তাকে বিশ্বাস করেছিলেন।
তেল আবিবের কাপলান স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়েছে। সমাবেশের একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের কিরিয়া সামরিক সদর দপ্তরের প্রবেশদ্বার বিগিন গেটে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘কেও যাবে না! আমরা জেরুজালেমের দিকে যাত্রা করবো এবং সেখানেই থাকবো, যতোক্ষণ না সরকার ভেঙে দেওয়া হয়।’
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, তেল আবিবের হোস্টেজ স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত একটি পৃথক সমাবেশে হামাসের বন্দিদশা হতে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে গাজায় আটক থাকা সমস্ত জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org