দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসিস প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনন্দমুখর ও অংশগ্রহণমূলকভাবে সম্পন্ন হলো দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন।
রাজধানীর গুলশানস্থ বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করে বেসিস নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।
নির্বাচনে আটটি জেনারেল ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন এডভান্সড ইআরপি বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল (৪০৫), সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাশিদুল হাসান (৩৮৮), বন্ডস্টাইন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম (৩৬৭), অ্যানালাইেজন বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক (৩৫৭), টিম ক্রিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল টি আহমেদ (৩৫৫), এ আর কমিউনিকেশন্সের প্রতিষ্ঠাতা এম আসিফ রহমান (৩৪৯), ডিভাইন আইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান (৩৪১) এবং শ্যুটিং স্টার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম (৩২৫)। অ্যাসোসিয়েট এবং অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে ফাইনালিটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ (১২৩), কার্নিভাল অ্যাসিউর লিমিটেডের পরিচালক বিপ্লব ঘোষ রাহুল (৪৮)।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটাগরিতে সমান ৩ ভোট পেয়েছেন মাস্টারকার্ড এর কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং অগমেডিক্স বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রাশেদ মুজিব নোমান। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ মে প্রাথমিক এবং ১১ মে চূড়ান্তভাবে বেসিসের ২০২৪-২৬
মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের পদ বণ্টন করা হবে।
এবারের নির্বাচনে ১১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনে ‘টিম স্মার্ট’, ‘ওয়ান টিম’ এবং ‘টিম সাকসেস’ নামের তিনটি প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাসেল টি আহমেদ নেতৃত্বাধীন ‘ওয়ান টিম’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ‘ওয়ান টিম’ সাধারণ, অ্যাসোসিয়েট, অ্যাফিলিয়েট এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটাগরিতে ১১টি পদের ৮ টিতে জয় পেয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল নেতৃত্বাধীন ‘টিম স্মার্ট’–এর সদস্যরা ৩ টিতে জয় পেয়েছেন।
এবারের বেসিস নির্বাচনে মোট ১,৪৬৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১১৫৭ জন। তাদের মধ্যে জেনারেল ক্যাটাগরিতে ৯৩২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৮১ জন, অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ৩৮৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৫০ জন, অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরিতে ১৩৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১১৮ জন এবং আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে ৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮ জন।
১১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির, জেনারেল সদস্য ক্যাটাগরির ৮টি পদের জন্য ২৪ জন প্রার্থী, অ্যাসোসিয়েট সদস্য ক্যাটাগরির একটি পদের জন্য তিনজন প্রার্থী, অ্যাফিলিয়েট সদস্য ক্যাটাগরির একটি পদের জন্য তিনজন এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটাগরির একটি পদের জন্য তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন বেসিস নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবীর এবং বেসিস নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সৈয়দ মামনুন কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিসের নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এবং আপিল বোর্ডের সদস্য নাজনীন কামাল। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org