দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র এক দিনে ১১ লাখের বেশি চারা গাছ রোপণ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কররো ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহর। ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেছেন, ইন্দোর ইতিমধ্যেই ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহরের তকমা অর্জন করলো।
এবার এক দিনে ১১ লাখের বেশি চারা রোপণের বিশ্ব রেকর্ডও অর্জন করেছে এই শহরটি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই চারা রোপণের আয়োজন করা হয়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সার্টিফিকেট ও ছবি শেয়ার করে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মোহন যাদব বলেছেন, ইন্দোর এখন বিশ্বের ১ নম্বরে রয়েছে। আমার ইন্দোরের ভাই এবং বোনেরা পরিচ্ছন্নতার পর বৃক্ষরোপণে ইতিহাস তৈরি করার জন্য আমি আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন ও একটি চারা রোপণ করেন। ইন্দোরের পূর্বে এক দিনে সবচেয়ে বেশি চারা লাগানোর রেকর্ড ছিল আসামের। ওই রাজ্যে এক দিনে ৯ লাখ ২৬ হাজার চারা রোপণ করা হয়।
গত ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির প্রচারণা উদ্বোধন করেন। এই কর্মসূচির আওতায় ভারত জুড়ে আনুমানিক ১৪০ কোটি চারা রোপণ করা হবে বলে জানানো হয়। যার মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি চারা রোপণ করা হবে মধ্যপ্রদেশে। এই রাজ্যকে ভারতের ‘ফুসফুস’ বলে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। গত কয়েক বছর ধরে ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে মধ্যপ্রদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ইন্দোর। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এই শহরটিতে ৫১ লাখ চারা গাছ রোপণ করা হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, ২ হাজার বিএসএফ জওয়ানের সঙ্গে শতাধিক এনআরআই সদস্য, অন্তত ৫০টি স্কুলের এনসিসি ক্যাডেট, কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন। অমিত শাহ জানিয়েছেন যে, বট, নিমের মতো দীর্ঘদিন বাঁচে এমন সব গাছের পাশাপাশি পেয়ারা, করন্দা, মধুকামিনী, বেলপাত্র এবং আমলকির মতো ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছও লাগানো হয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org