দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স বাংলাদেশে হট ৫০ সিরিজের নতুন ফোন ‘ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো’ উন্মোচন করলো। প্রিমিয়াম ডিজাইনের এই ডিভাইসটি দেখতে স্লিম এবং সেইসঙ্গে টেকসই।
হট সিরিজের নতুন এই স্মার্টফোনে এবার যুক্ত করা হলো মিডিয়া টেক হেলিও জি১০০ প্রসেসর; যা গেমিংয়ের সময় দীর্ঘস্থায়ী এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেবে। সেইসঙ্গে এই স্মার্টফোনটিকে বাজারের অন্যতম সেরা বাজেট গেমিং স্মার্টফোনে পরিণত করবে।
ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো-তে ৭.৪ মিমি প্রিমিয়াম-স্লিম ডিজাইন রয়েছে, যা ডিভাইসটিকে দেখতে বেশ আকর্ষণীয় করেছে। এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৭৮ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যা মোবাইল স্ক্রলিং, ভিডিও দেখা কিংবা গেম খেলার সময় ল্যাগ ছাড়াই দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে। এই স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে শক্তিশালী মিডিয়া টেক হেলিও জি১০০ প্রসেসর। এটি ৬ ন্যানোমিটারের চিপসেটটি অক্টাকোর সিপিইউ ও মালি জি৫৭ দ্বারা পরিচালিত। এই ডিভাইসটিতে ১৬ জিবি পর্যন্ত অতিরিক্ত র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে।
এই স্মার্টফোনে ৪ বছরের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। যে কারনে ব্যবহারকারীদের পাওয়ার শেষ হওয়ার কোনো চিন্তাই করতে হবে না। একইসঙ্গে এটি বাইরের ধুলোবালি ও বৃষ্টির মতো স্বল্পমাত্রার পানি প্রতিরোধীও। আর ফটোপ্রেমীদের জন্য হট ৫০ প্রো স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরাও। ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো টাইটানিয়াম গ্রে, গ্লেসিয়ার ব্লু ও স্লিক ব্ল্যাক- এই ৩টি আকর্ষণীয় রঙে বাজারে ছাড়া হয়েছে। এই স্মার্টফোনটির বাজারমূল্য হলো ১৮,৯৯৯ টাকা।
জানা গেছে, শীঘ্রই হট ৫০ সিরিজের বেস মডেলও বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org