দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামপ্রতিক সময়ে রাজধানীতে গ্যাস সংকট তীব্র হয়েছে। দুপুরের রান্না রাতেই করে রাখতে হচ্ছে অনেক এলাকায়।
গ্যাসের এই সংকট গত কয়েকবছর হলেও বর্তমানে এই সংকট আরও প্রকট হয়েছে। বিশেষ করে দুপুরের দিকে এই সংকট আরও তীব্র হয়ে ওঠে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। যে কারণে জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাজধানীর টিকাটুলি, গোপীবাগ, যাত্রাবাড়ী, ধলপুর, ধোলাইরপাড়, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, মুরাদপুর, নবীনগর, পাটেরবাগ, হাজী খোরশেদ আলী রোড, কুতুবখালী, জিয়া সরণি, মৃধাবাড়ী, কাজলা, ভাঙ্গাপ্রেস, মীর হাজীরবাগ, টিপু সুলতান রোড, শহীদ ফারুক রোড, নবাবপুর রোড, নারিন্দা ফুলবাড়িয়া, বিবির বাগিচা, করাতিটোলা, কুলুটোলা, দক্ষিণ মুগদা, মৈশুন্ডি, বনগ্রাম, মানিকনগর, সায়েদাবাদ, স্বামীবাগ, কে এম দাস লেন, অপরদিকে মিরপুর ১, ২, ১০, ১১, ১২ মিরপুর-১৪, ভাষাণটেক, মানিকদী বালুঘাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় গ্যাস সংকট চলছে।
গ্যাস সংকটের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ সংযোগগুলো। সরবরাহ পাইপলাইন বসানোর সময় এলাকার একটি হিসাব অনুযায়ী পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু যত্রতত্র অবৈধ সংযোগের কারণে সরবরাহ লাইন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। এসব কারণেও গ্যাসের এই সংকট দেখা দিয়েছে।
জাতীয় গ্রিডে নতুন উৎপাদন যোগ হওয়ার পরও কেনো গ্যাস সংকট কাটছে না তা কেওই বলতে পারছে না। তিতাস গ্যাসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অবৈধ লাইনের কারণে আরও সংকট বেশি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। নতুন সংযোগ চলা অবস্থায় কেনো অবৈধ লাইন রয়েছে সে বিষয়ে অবশ্য তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
রাজধানীর হাজার হাজার পরিবার চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই গ্যাস সংকটের কারণে। বিশেষ করে সকাল ১০ টার পর গ্যাসের চাপ কমতে থাকে। দুপুরে অনেক এলাকায়ই একেবারেই চুলা জ্বলে না। গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করায় অনেকে কেরোসিনের চুলায় বা কাঠের চুলায় রান্নার কাজ সারছেন। আবার অনেকেই রাতে অথবা ভোরে উঠে রান্নার কাজ সারছেন। এ দুর্ভোগ কতদিন পোহাতে হবে তা কেওই জানেনা। তবে নতুন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা এবার অন্তত গ্যাসের সংকট দূর হবে। সে আশায় রয়েছেন রাজধানীবাসী।