দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একতা এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১২ জন। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
রবিবার ভর-রাত ৩টা থেকে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একতা এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু ঢাকা থেকে দিনাজপুর গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রনটি একই লাইনে উঠে গেলে এই সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনায় উভয় ট্রেনেই দুটি করে চারটি বগি লাইন চ্যুত হয়।
ঘটনার সময় উভয় ট্রেনে থাকা যাত্রীরা দ্রুত লাফিয়ে ট্রেন থেকে বেড়িয়ে যান। তবে কিছু যাত্রী আহত হন এবং ৪ জন যাত্রী উল্টে যাওয়া বগির নিচে আটকে পড়েন। বগির নিচে আটকে পড়াদের মাঝে দুইজন তাৎক্ষণিক মারা যান। নিহতরা হলেন- নাটোরের হরিশপুরের আলতাফ হোসেন (৩৫) এবং লালমনিরহাটের মজিবুর রহমান (৪০)।
ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব, ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। উল্লাপাড়ার এসআই জলিল বলেন, “ঘটনার সময় লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল একতা ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন অন্য লাইনে ঢুকার অপেক্ষায়। এ সময় ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস একই লাইনে ঢুকে গেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়।”
ঘটনায় আরও আহত হয়েছেন প্রায় ১২ জন তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে পাবনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, “দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে লাইনে দাড়িয়ে থাকা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটির উপর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন উঠে যাওয়ায় লালমনি এক্সপ্রেস এর বেশি ক্ষতি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন ঘটনায় সিগন্যালম্যান ও স্টেশন মাস্টারসহ কর্তব্যরতদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে। এক লাইনে ট্রেন অপেক্ষা রত ছিল এই বিষয়ে সঠিক সিগন্যাল দেয়া হয়নি বলেই দুই ট্রেনের এই ভয়ংকর সংঘর্ষ হয়েছে।