দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনলাইন ফার্টিলাইজার রিকমন্ডেশন সিস্টেম বা ওএফআর সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোন কৃষিজমিতে কি পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হবে তা জানা যাবে। মাটির পুষ্টিগুণাগুণ, ফসলের পুষ্টি চাহিদার উপর বিবেচনা করে এই সফটওয়্যারটি সার প্রয়োগের নির্দেশনা দিবে।
বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৃত্তিকা গবেষণা ইন্সটিটিউট এই সফটওয়্যারটি উদ্ভাবন করেন। গত মঙ্গলবার সফটওয়্যারটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এই সফটওয়্যারের সুবিধা সরাসরি পাওয়া যাবে http://www.frs-bd.com এবং http://www.srdi.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে। এছাড়া ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র এবং গ্রামীণফোনের তথ্য পরিষেবা কেন্দ্র থেকে এই সফটওয়্যারের সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন কৃষকরা। সফটওয়্যারটি জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জমির প্রকৃতি এবং ফসলের উপর বিবেচনা করে সারের মান এবং পরিমাণ নির্ধারন করে থাকে।
সফটওয়্যারটি সম্পর্কে মৃত্তিকা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, কয়েক বছরের গবেষণার ফলাফল এই সফটওয়্যার। বাংলাদেশের সকল অঞ্চলের কৃষিজমি, ফসল এবং ঋতু বৈচিত্র্য বিবেচনা করে একটি সুবিশাল ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। সেই ডাটাবেজের সাথে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে সারের প্রয়োগের মান নির্ধারন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সফটওয়্যারটি বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবে। আমাদের এখন মূল দায়িত্ব এই সেবা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেন, সফটওয়্যারটি ব্যবহারের ফলে ফসলভেদে ফলন বাড়বে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ, ফসলের রোগবালাই প্রতিরোধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে, উৎপাদন খরচ কমে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কৃষকেরা শুধু ফসলের নাম, জমির ঠিকানা এবং জমিতে কেমন পানি থাকে তার বর্ণনা দিয়েই সেই ফসলের জন্য কেমন সার, কি পরিমাণ প্রয়োগ করতে হবে তা জেনে যাবেন।
২০০৯ সালে ৩০টি উপজেলার মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেবা প্রদান শুরু করা হয়। পরবর্তীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেবা প্রদান ব্যবস্থা চালু করে। তার সাথে যুক্ত হয় বেসরকারী মোবাইল সেবা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক এবং গ্রামীণফোন। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রসেস এর সাথে সম্পৃক্ত হয় এবং এই সেবা পরিবর্ধিত করে।