দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এটা সত্য যে রোবটরা আজকের দিনে আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে কিন্তু এর বাইরে তারা আর কিছুই নয় তারা শুধুমাত্রই একটি যন্ত্র। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, রোবট দেখতে যতটাই মানুষের কাছাকাছি মনে হোক-না কেন তারা কখনোই মানুষের মতো আবেগ দেখাতে পারবে না।
আজকালকার দিনে প্রায় সকল কাজেই আমরা রোবটের ব্যবহার দেখছি। গৃহস্থালি কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক কাজ পর্যন্ত প্রায় সকল কাজেই রোবট পারদর্শিতার সাথে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন কাজের সাথে এই সম্পৃক্ততা লক্ষ্য করলে মনেই থাকে না তারা যন্ত্র। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি ম্যাথমেটিক্যাল মডেল দাবি করছে যে, রোবটের মস্তিস্কে কখনোই আবেগ কিংবা সচেতনতা আনা সম্ভব নয় কেননা লজিক্যাল দিকগুলোর সচেতনতা কিংবা আবেগ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে থাকে। একটি যন্ত্রের পক্ষে সকল প্রকার তথ্যর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে তার বিস্তৃত রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। এর মানে এই যে, যন্ত্রের পক্ষে আবেগ সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।
আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ম্যাগুইরা বলেন, একটি রোবটের পক্ষে তার সীমিত মস্তিস্কে কখনোই সীমাহীন আবেগ ধারণ করা সম্ভব নয়। একে আরেকভাবে প্রকাশ করা যায় এভাবে যে, ইন্টিগ্রেটেড ইনফরমেশনগুলোর পক্ষে রোবটের হার্ডওয়্যারের কম্পোনেন্টগুলোর দিক নির্দেশনা ভেঙ্গে নতুন কোন মানবিক ক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব নয়। কেননা রোবটের মস্তিস্ক প্রাসঙ্গিক তথ্যসমূহকে ধারণ করে থাকে। অধ্যাপক আরো বলেন, আমরা যদি রোবটের মস্তিস্কে আবেগ প্রবেশ করাই তবে তা আমাদের জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে। এই বহিরাগত আবেগ রোবটের মস্তিস্কে জটিলতা সৃষ্টি করবে।
রোবটের এই রহস্যভেদের ফলাফল কি হতে পারে? এই ফলাফল বিবেচনা করে দেখা যায় যে, রোবটের আবেগ তৈরি করাটা মানবজাতির জন্য সুখকর কোন বিষয় নাও হতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ দি টেক জার্নাল