দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ন্যাপথলিন একাধিক কাজে ব্যবহার করা যায়। বইয়ের সেলফে, কাপড়ের আলমারিতে, কাপড়ের ভাঁজে, যেকোনো বেসিনে, বিশেষ করে টয়লেটের বেসিনে। তাই সেই আদিকাল থেকেই ন্যাপথলিন সারাবিশ্বব্যাপী দুর্গন্ধনাশক ও পোকামাকড় নাশক হিসেবে জনপ্রিয়।
ন্যাপথলিন কি?
ন্যাপথলিনের প্রধান উত্স হল আলকাতরা । এর রাসায়নিক সংকেত C10H8 । ন্যাপথলিন একটি বিশিষ্ট গন্ধযুক্ত চকচকে সাদা রঙের কেলাসিত কঠিন পদার্থ । এটি একটি উদ্বায়ী পদার্থ অর্থাৎ তরলীভূত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। কয়লার অন্তর্ধূম পাতনের ফলে উৎপন্ন আলকাতরার আংশিক পাতনে 170°C — 230°C উষ্ণতার মধ্যে যে পাতিত দ্রব্য পাওয়া যায়, তাকে মিড অয়েল বলে । এর মধ্যে ন্যাপথলিন থাকে । মিড অয়েলকে ঠাণ্ডা করলে ন্যাপথলিন কঠিন রূপে কেলাসিত হয়
ন্যাপথলিনের ব্যবহারঃ
ন্যাপথলিন যেমন বইপত্র ও কাপড়কে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করে তেমনি ব্যাকটেরিয়ারও বিরক্তির কারণ হয়। আবার বইপত্র ও কাপড়কে রাখে সুগন্ধময়। বাজারে হরেক রকম ন্যাপথলিন পাওয়া যায়। বুকসেলফের অগ্রভাগে সাধারণত আমরা বই রাখি। এর পেছনের খালি জায়গায় ৪-৫টা ন্যাপথালিন ফেলে দিন। ন্যাপথলিন উবে না যাওয়া পর্যন্ত বই পোকায় কাটা থেকে নিশ্চিন্ত থাকুন । আবার টয়লেট হচ্ছে ব্যাকটেরিয়াদের আবাসভূমির মতো। লাখ লাখ ব্যাকটেরিয়া ভেসে বেড়ায় নোংরা টয়লেটে। বেসিনে ৫-৬টা ন্যাপথলিন ফেলে রাখুন। ন্যাপথলিন আপনার টয়লেট রক্ষা করবে ব্যাকটেরিয়া আর দুর্গন্ধ থেকে। এছাড়াও কীটনাশকরূপে ন্যাপথলিন ব্যবহৃত হয়ে থাকে । কাপড়, সিল্ক কাগজ প্রভৃতির রং প্রস্তুতিতে ন্যাপথলিন ব্যবহার করা হয় । কাপড়ের জন্য ব্যবহৃত নীল (indigo) প্রস্তুতিতে ন্যাপথলিন ব্যবহার করা হয় ।