দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গতকাল সোমবার শপথ নিয়েছেন জোকো উইদোদো। তিনি সাধারণ আসবাব বিক্রেতা হতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বনে গেলেন।
ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হলেন যিনি প্রতিষ্ঠিত বা ক্ষমতাধর রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী কিংবা সামরিক বলয় থেকে নির্বাচিত হননি। হয়েছেন এক সাধারণ শ্রেণী থেকে। তিনি সাধারণ এক আসবাব বিক্রেতা হতে ধীরে ধীরে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হলেন।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার পার্লামেন্টে গতকাল সোমবার এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। এতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং আঞ্চলিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে জোকো উইদোদো বলেন, ‘মৎস্যজীবী, শ্রমজীবী, হকার, চালক, শ্রমিক, শিক্ষাবিদ, সৈনিক, পুলিশ, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের প্রতি আমার আহ্বান, চলুন, আমরা সবাই একসঙ্গে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের জন্য কঠোর পরিশ্রম করি। কারণ হলো এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
সাবেক আসবাব বিক্রেতা ৫৩ বছর বয়সী জোকো উইদোদো গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি জাকার্তার গভর্নরও ছিলেন। তাঁর সাদাসিধে জীবনযাপন, সততা এবং কঠোর পরিশ্রমের গুণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিম্ন আয় ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৫ কোটি। ইন্দোনেশিয়ার ৯০ শতাংশ মুসলিম। দীর্ঘদিন স্বৈরশাসনের অধীনে ছিল এই দেশটি। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিক হতে ইন্দোনেশিয়ায় গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা শুরু হয়। নব নিযুক্ত প্রেসিডেন্ট গণতন্ত্রের সেই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করবেন বলেই মনে করছেন দেশটির সাধারণ জনগণ।