দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাবিশ্বের প্রায় দেশই এখন ড্রোনে আকৃষ্ট হচ্ছে। প্রথম দিকে আমেরিকা সন্ত্রাসীদের ধরতে ড্রোন হামলা চালাতো। কিন্তু এখন এই ড্রোনের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। এবার আগুন নেভাতে ব্যবহার হবে ড্রোন! এই উড়ুক্কু যন্ত্র (ড্রোন) তৈরির কাজে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাসা।
যখন আগুন লাগে তখন জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যায় সেই এলাকা। আগুন নেভানোর কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকলে অগ্নিনির্বাপক দলকেও তখন কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কখনও বড় বড় ভবন বা জঙ্গলে আগুন লাগলে উচ্চতার জন্যও আগুন নেভানো বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে। এমন ক্ষেত্রে আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য করতে পারবে এমনই একটি উড়ুক্কু যন্ত্র (ড্রোন) তৈরি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)।
যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি উড়ুক্কু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (ড্রোন) তৈরি শুরু করেছে। নাসার গবেষকেরা ড্রোন অথবা চালকবিহীন ছোট বিমানসদৃশ্য যন্ত্র তৈরি করছেন। এই যন্ত্রটি কোথাও আগুন লেগেছে কি না, তা যেমন শনাক্ত করতে পারবে, ঠিক তেমনি সেই আগুনের শিখা নিভিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতেও বিশেষভাবে সাহায্য করবে। জানা যায়, উড়ুক্কু অগ্নিনির্বাপক ড্রোন-এর নকশা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে নাসার ল্যাংলি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকেরা।
নাসার গবেষকরা জানিয়েছেন, উড়ুক্কু এই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে ধোঁয়ার উৎস খুব সহজেই বের করা সম্ভব হবে। এতে যে ক্যামেরা সংযোজিত থাকবে তার সাহায্যে আগুনের উৎপত্তিস্থলও শনাক্ত করা যাবে। এরইমধ্যে ভার্জিনিয়ার পানগোতে মিলিটারি এভিয়েশন মিউজিয়ামে চালকবিহীন এই উড়ুক্কু যন্ত্র ড্রোনের পরীক্ষাও চালানো হয়েছে। এ ড্রোন তৈরিতে খরচ পড়বে ৫ হাজার হতে ১০ হাজার ডলার। প্রতিবার ওড়ার সময় এর খরচ মাত্র ৫০ ডলারের মতো। ড্রোনটি ৪০ হতে ৫০ মাইল বেগে এবং ২০ হতে ২৫ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে।
গবেষকরা বলছেন, এই ড্রোনটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে যে সব স্থানে বড় বড় ভবনে কিংবা বনে আগুন লাগে সেসব স্থানে আগুন নেভাতে বিশেষভাবে ব্যবহার করা যাবে। মানব সভ্যতার আবিষ্কারে এটি বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে এটিই গবেষকদের বিশ্বাস।