দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অকৃত্রিম ভালোবাসা কখনও মুছে যায় না। তা মৃত্যুর পরও না। এমনই এক প্রেমিক যুগলের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫৬ বছর পর বরফ আলিঙ্গন অবস্থায় জমাট ওই যুগলের দেহ উদ্ধার করা হয়।
পৃথিবীতে ভালবাসা এমন একটি জিনিস যা অর্থ প্রতিপত্তি বা অন্য কোনো কিছু দিয়ে কেনা যায় না। ভালবাসা কখনও মরে না, অমর। এমন প্রমাণ যুগ যুগ ধরে পাওয়া গেছে। তবে এবার আরেক প্রেমিক যুগল এই প্রমাণটি করলেন। তারা মরে গিয়েও সেই প্রমাণ করে গেলেন সব সময় এক সঙ্গেই থাকতে চান। আজ নয়, প্রায় ৫৬ বছর পূর্বের কথা। সেই তখন তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিলেন অকৃত্রিম এক ভালোবাসার বাঁধনে আজও সেই বাঁধন অটুট- অর্থাৎ মৃত্যুর এতোবছর পরও! পর্বত শৃঙ্গে শ্বেতশুভ্র তুষার ধসের নীচে দু’টি মমি ঘন আলিঙ্গনাবদ্ধ।
আলিঙ্গনে জমাট যুগলের দেহ উদ্ধার করা হয় মেক্সিকোর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ পিকো দে ওরিজাবায়। এই প্রেমিক যুগল শেষ সময়েও একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। আর সে অবস্থাতেই কেটে গেছে টানা ৫৬টি বছর।।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকো সরকার বলেছে, ১৯৫৯ সালের কথা। পিরো ডে ওরিজাবা অভিযানে যায় একটি অভিযাত্রী দল। দীর্ঘ ৫৬ বছর পর সেই দলেরই দুই সদস্যের মমি উদ্ধার করা হয়। এটি উদ্ধার করে আরেক অভিযাত্রী দল। মেক্সিকোর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ পিকো দে ওরিজাবা হতে বরফে আচ্ছাদিত মৃতদেহ দুটি দেখতে পান পর্বতারোহীরা।
অভিযাত্রী দলের সদস্য ফ্রান্সিসকো রডরিগেজ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ১৯৫৯ সালের ২ নভেম্বর পিরো ডে ওরিজাবায় এক তুষারঝড়ের কবলে পড়েন একদল অভিযাত্রী। সে সময় বাকিদের দেহ উদ্ধার করা হলেও, দু’জন নিখোঁজ থাকে। পরবর্তীতে তাদের নিখোঁজ বলেই ঘোষণা করা হয়। তুষারের নীচে চাপা পড়া সেই দুই অভিযাত্রীর মমিই অবশেষে উদ্ধার হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উদ্ধারকৃত মমিগুদুটির ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকারীরা বলেছেন, আরও একটি দেহ উদ্ধার হতে পারে ওই অঞ্চল হতে। পাঁচ দশক বরফের নিচে চাপা থাকা মৃতদেহ দুটি মমির মতোই হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর উদ্ধার হলেও বরফের নিচে চাপা পড়ে থাকায় মৃতদেহগুলো প্রায় অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।