দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র এক দুই মিনিটে মানুষের জীবন এমন দুর্বিষহ হতে পারে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা বড়ই কঠিন। পর্যটকদের সবচেয়ে প্রিয় একটি স্থান নেপাল এখন মৃত্যুপুরি। খোলা আকাশের নীচে হাজার হাজার মানুষ।
মাত্র এক বা দুই মিনিটের ঝাঁকি। অথচ হাজার বছরের ঐতিহ্য আজ মাটিতে মিশে গেছে। হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। গুড়িয়ে গেছে ঘর-বাড়ি ও আবাসস্থল। মোট কথায় এক মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে নেপাল শহরটি। এক সময় যেখানে মানুষ শুটিং করতে কিংবা বেড়াতে আসতো আজ সেই শহরটি বিধ্বস্ত এক নগরীতে পরিণত হয়েছে।
এখন মাথা গোজার ঠাই নেই। বিধ্বস্ত ভবরে যেটুকু মাথা গোজার জায়গা রয়েছে সেটিও নিরাপদ নয়। কারণ ভূমিকম্প বারং বার আঘাত হানছে। কখন আবার আঘাত হানে সে ভয়ে ঘরে থাকাও দুষ্কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমন এক মানবিক মহাবিপর্যয়ে পড়েছে নেপাল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে। কিন্তু বিধ্বস্ত নগরী আবার কবে স্বাভাবিক জীবন যাপনের যোগ্য হবে তা কেও জানে না। চোখের সামনে বিভৎস্য সেই ভূমিকম্পের দৃশ্যের কথা মনে হলে অনেকেই আঁতকে উঠেন। মানুষের জীবনে এমন বিপর্যয় আসতে পারে তা কেও কল্পনাও করেনি কখনও।
মাথা গোজার ঠাই নেই, খাবার পানি নেই, খাবার নেই, বিদ্যুৎ নেই সব মিলিয়ে এক মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে এক সময়ের রাজকীয় শহর নেপাল। হয়তো একদিন নেপাল আবার উঠে দাঁড়াবে, সবকিছু হয়তো স্বাভাবিক হবে। কিন্তু মানুষের অন্তরে যে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে; বিভৎস্য যে দৃশ্য তারা স্বচোক্ষে দেখেছেন সেটি ভুলতে পারবেন না কোনো দিন। স্বজন হারানোর আর্তনাদ তাড়া করবে প্রতিনিয়ত। সৃষ্টিকর্তা আবার সবকিছু স্বাভাবিক করে দিক এটিই এখন একমাত্র কামনা।