দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার বোয়িং বিমানে বসতবাড়ি গড়ে তোলা হয়েছে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এক ভদ্রলোক একটি অকেজো বোয়িং ৭২৭ কেনেন এবং সেখানেই স্থাপন করেন তার বসতি।
মানুষ ইচ্ছে করলে সব কিছুই করতে পারে। এমনই একটি ঘটনার সূত্রপাত করেছেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এক ভদ্রলোক। তিনি একটি বোয়িং বিমান কিনে সেখানে গড়ে তুলেছেন বসত বাড়ি। দূর হতে দেখলে মনে হবে একটি বিমান বোধহয় ভুল করে জঙ্গলে আটকা পড়েছে। আসলে কিন্তু তা নয়। এই বিমানটিকে বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন ইঞ্জিনিয়ার ব্রুস ক্যাম্বেল। এই ভদ্রলোক একটি অকেজা বোয়িং ৭২৭ বিমান কেনেন এবং সেখানেই তার বসতি স্থাপন করেন। তিনি দাবি করেছেন, উড়োজাহাজটিকে পরিত্যক্ত হতে দিতে চাননি বলেই সেখানে বসতি স্থাপন করেছেন।
ইঞ্জিনিয়ার ব্রুস ক্যাম্বেল বলেন, ‘একটি উড়োজাহাজকে যখন বাতিল করে দেওয়া হয়, তখন সেটাকে অন্যভাবেই ব্যবহার করা উচিত। কোনো উড়োজাহাজকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা উচিত নয়। সেজন্য তিনি উড়োজাহাজটিকে বাড়ি বানিয়ে ফেলেন।
জানা যায়, পোর্টল্যান্ডের শহর হতে একটু দূরেই তিনি বিমানটির মধ্যে তার এই অভিনব বাড়ি বানিয়েছেন। পরিত্যক্ত বিমানটিকে কয়েকটি পিলারের ওপর দাঁড় করিয়েছেন। বিমানের বেশিরভাগ সরঞ্জামই রেখে দিয়েছেন ক্যাম্পবেল। তিনি ভেতরেই বানিয়েছেন বেডরুম, ডাইনিং রুম এমনকি পড়ার ঘরও। প্রতিনিয়তই ক্যাম্পবেল বিমানটিকে নতুন করে সাজাচ্ছেন। ব্যতিক্রমী এই বাড়িটিতে বেশ সুখেই রয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইঞ্জিনিয়ার ব্রুস ক্যাম্বেল।
ইঞ্জিনিয়ার ব্রুস ক্যাম্বেল তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘এটি সত্যিই অনেক মজার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি। অন্যসব বাড়ি হতে এটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী। দরজা-মেঝে সবকিছুই দেখতে অন্য রকম। এখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিমানের জিনিসপত্র, ভেতর এবং বাহিরে বিমানের বাতি। এখানে বাস করা সত্যিই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। বছরে ৬ মাস ছয়েক এই বিমানটিতে থাকেন ক্যাম্পবেল। বাকি সময়টুকু তিনি জাপানে থাকেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ১ লাখ ডলার দিয়ে বিমানটি কেনেন ক্যাম্পবেল। তারপর সেটিকে বাড়ির আদলে তৈরি করতে আরও ১ লাখ ২০ হাজার ডলার গুণতে হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার ব্রুস ক্যাম্বেলকে।