দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাচারের জন্য মানুষ নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু তাই বলে শরীরের মধ্যে লুকিয়ে সাপ পাচার! এমন কথা মনে হয় এবারই প্রথম শোনা গেলো।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে যারা বিভিন্ন পোর্ট বা বিমান বন্দরের ক্লিয়ারেন্স শাখায় চাকরি করেন। তারা বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। অনেক সময় জুতোর সুকতলায় স্বর্ণ বা ড্রাক পাচার ধরা পড়ে থাকে। আবার এমনও শোনা গেছে গুয্যদ্বারের মধ্যে সোনা পাচারের মতো ঘটনাও নতুন নয়। কিন্তু তাই বলে সাপ শরীরের সঙ্গে করে পাচারের ঘটনা মনে হয় এটিই প্রথম।
সম্প্রতি একটি ঘটনায় তাজ্জব বনে গেছেন সুইডেনের কাস্টমস দফতরের কর্মকর্তারা। কারণ এক নারী তার অন্তর্বাসের ভেতরে লুকিয়ে ৬৫টি সাপের বাচ্চা পাচার করার সময় ধরা পড়েন! ঘটনাটির কথা শুনে হয়তো আপনার গায়ের মধ্যে শিরশিরানি শুরু হতে পারে। কিন্তু ঘটনাটি সত্যিই চাঞ্চল্যকর।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ৪২ বছর বয়সী ওই নারী অন্তর্বাসের ভেতর লুকিয়ে রাখেন ৬৫টি সাপের বাচ্চা। আর ব্লাউজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন ৬টি টিকটিকি! অথচ তাকে দেখে বোঝাই যায়নি যে, তিনি নিজের সঙ্গে এতোগুলো জ্যান্ত বিষধর প্রাণী নিয়ে হাঁটছেন!
এক পুলিশ সদস্যের সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করা হয়। এরপরই চমকে ওঠেন উপস্থিত কর্মকর্তারা। ওই নারীর ব্লাউজের ভেতর হতে বেরিয়ে এলো ৬টি টিকটিকি। তল্লাশির এক পর্যায়ে তার অন্তর্বাস হতে কিলবিল করে বের হতে লাগলো ছোট ছোট বিষধর সব সাপের বাচ্চা। গুনে দেখা গেলো মোটমাট ৬৫টি সাপ!
পরে পুলিশের জেরার মুখে ওই নারী বলেন, তিনি একটি সরীসৃপ খামার করতে আগ্রহী। তাই তিনি বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্ত হতে সাপ, টিকটিকি সংগ্রহ করে এনেছেন। যেহেতু নিয়মমাফিক সাপ বা টিকটিকি সুইডেনে নিয়ে আসা নিষিদ্ধ, যে কারণে বাধ্য হয়ে তিনি লুকিয়ে এই কাজ করেছেন বলে তিনি পুলিশকে জানান।