দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহ উজমা খামেনেয়ীর ফতোয়া দিয়েছেন যে, ‘শরীর রক্তাক্ত করে শোক পালন করা হারাম’।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুধু শরীর রক্তাক্ত নয়, এমনকি গোপনে এই কাজ করতেও নিষেধ করেছেন ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, এ ধরনের কাজ শোক-প্রকাশ নয়, বরং শোক-প্রকাশের ধ্বংস সাধন। আবার তিনি পোশাক খুলে কিংবা খালি-গা হয়ে শোক প্রকাশ করারও বিরোধিতা করেছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে আশুরা ও মহররমের শোক প্রকাশের নামে অনেকেই নানা পন্থায় শরীরকে রক্তাক্ত করে থাকেন। বিশেষ করে শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি দেখা যায়। আর এই বিষয়টি মহররমের পবিত্রতা এবং শোক-প্রকাশকারীদের সম্পর্কে নানা নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই ধরনের তৎপরতার কারণে ইসলামের শত্রুরা ইসলামের মতো এমন মহান ধর্ম সম্পর্কে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানোর সুযোগ নিচ্ছে- এমনটি মনে করেন ইরানের শীর্ষস্থানীয় অনেক আলেমও। তাই তারা শোক-প্রকাশের ক্ষেত্রে এসব বাড়াবাড়ি পরিহার করতে মুসলমানদের প্রতি সতর্ক করে আসছেন। ইসলামের বিধান অনুযায়ী ইবাদতের জন্য পোশাক, শরীর এবং স্থান সব কিছুই পবিত্র হওয়া জরুরি।
তাই তারা মনে করেন, রক্ত অপবিত্র হওয়ায় এর স্পর্শে স্থান, দেহ এবং পোশাকও অপবিত্র হয়ে যায়। তাই ইবাদতের স্বার্থে মসজিদের মতো পবিত্র স্থানকে ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষের রক্ত দিয়ে অপবিত্র করা নিষিদ্ধ- এমন ফতোয়া দিয়ে আসেছেন ইরানের আলেম সমাজ।
ইরানি আলেম সমাজ মনে করেন, কারবালার শোকাবহ ঘটনার জন্য যারা শোক প্রকাশ করতে চান, তারা অপাত্রে রক্ত অপচয় না করে, রোগিদের জন্য হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দান করলে অনেক সাওয়াবের অধিকারী হবেন।