দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পানির নীচে ঘর-বাড়ি বা হোটেলের খবর আমরা আগে দেখেছি। কিন্তু এবার শোনা গেলো সমুদ্রের নীচে এক ঝুলন্ত মসজিদের কথা!
এরকম পানির নীচে একটি ঝুলন্ত মসজিদ রয়েছে মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরে৷ বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। ফরাসি কোম্পানির হস্তক্ষেপে এই মসজিদের ভাষ্কর্য আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় সৌন্দর্যও আরও বৃ্দ্ধি পেয়েছে। মসজিদের দেওয়ালে সরু নকশার কাজ দেখলে যে কেও বাহবা দিবে এই ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউকে।
মসজিদকে ভাসমান অ্যাখা দেওয়ার কারণ হলো এটা জানতে গেলে পাড়ি দিতে হবে আটলান্টিক সমুদ্রে। জাহাজ হতে ওই মসজিদকে দেখলে মনে হবে, যেনো টেউয়ের বুকে দুলছে মসজিদটি। একটু কান পাতলে শোনা যাবে মুসলমানদের নামাজ পড়ার সুর৷ এই মসজিদের তিনভাগের একভাগই নীল আটলান্টিকের ওপরে বিরাজমান। বাকি অংশটি সমুদ্রের তলায় রয়েছে- এমন মনে হবে। ২২.২৪ একরের এই মসজিদটিতে রয়েছে গ্রন্থাগার, কোরআন শিক্ষালয়, আলোচনা-কক্ষও রয়েছে৷
এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ মানুষ নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদটির মিনারের উচ্চতা ২শ’ মিটার। মেঝে হতে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মসজিদের এই ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট অন্তর অন্তর কৃত্রিম উপায়ে খুলে যায়। যে কারণে মসজিদের ভেতরে আলো-বাতাস অনায়াসে ঢুকতে পারে। মসজিদের বাইরে রয়েছে ১২৪টি ঝরনা এবং ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি। আসলে দ্বিতীয় হাসান মসজিদ-এর এই অভূতপূর্ব নান্দনিক সৌন্দর্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। মনে হবে এক অপার সৌন্দর্যের প্রান্তর এটি।
দেখুন ভিডিও