দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জ্বিন-ভূতের গল্প আমরা ছোটবেলায় শুনেছি। কিন্তু বড় হয়ে বুঝতে পেরেছি যে জ্বিন-ভূত বলে আসলে কিছুই নেই। আজ রয়েছে ব্রিটেনের জ্বিন-ভূতের এক গল্প!
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, জ্বিন-ভূতে আছর হয়েছে এমন কথা বলে সম্প্রতি নাকি ব্রিটেনে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। ব্রিটেনের মহানগরের পুলিশ কর্মকর্তারা এমন ৬০টি অপরাধের ঘটনা জানতে পেরেছেন। আগের দু’বছর ২০১৩ সালে ২৩টি এবং ২০১৪ সালে ৪৬টি এমন অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল।
জানা গেছে, এই ধরনের (জ্বিন-ভূতের) অপরাধ দমনে লন্ডনে পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী রয়েছে। এই বাহিনীর নাম প্রোজেক্ট ভায়োলেট। এর কর্মকর্তারা বলছেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের নামে এসব অপরাধের ঘটনা ঘটছে। আর সে কারণে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এক ঘটনায় দেখা গেছে, ২০০৭ সালে নাইজেরিয়া হতে একটি শিশুকে ইংল্যান্ডে আনা হয়েছিলো। এক আত্মীয়ের বাসায় সে কাজ করতো। ওই বাড়ির বাচ্চা অসুস্থ হলেই দায়ী করা হতো তাকে।
এমন অবস্থায় ওই পরিবারটি তাকে ‘ডাইনি’ বলে আখ্যা দিয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। আবার শারীরিকভাবেও তাকে নির্যাতন করা হয়। প্রতিবেশী এক নাইজেরিয়ান মহিলার হাত ধরে পরে সে ওই বাড়ি হতে পালিয়ে আসে। সে বলেছে, চিকিৎসার জন্যে তাকে স্থানীয় এক গির্জাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ঝাড়ু দিয়ে তাকে পেটানো হয়। আরেক ঘটনায় ৯ বছর বয়সী এমন এক শিশুরও খোঁজ মেলে, যাকে শয়তান বলে বাসা হতে বের করে দেওয়া হয়।
সেখানে জ্বিন-ভূতের আছর বা এমন ধরনের অভিযোগ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে যা আশঙ্কাজনকহারে। স্থানীয়রা মনে করছেন এ ধরনের ঘটনা মানুষকে কাল্পনিক জগতে নিয়ে যাচ্ছে। এতে বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ। এটি রোধ করা দরকার।