দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কঠোর সমালোচনাকে উপেক্ষা করে সম্প্রতি হংকংয়ের জন্য ‘বিতর্কিত’ নিরাপত্তা আইন পাস করেছে চীন সরকার। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হংকংয়ের ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ। যাদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ করে দিচ্ছে ব্রিটেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘নতুন নিরাপত্তা আইন হংকংয়ের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করেছে। যারা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদেরকে ব্রিটেনে আসার সুযোগ দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ব্রিটিশ ন্যাশনাল পাসপোর্টধারীসহ বাকি ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন হংকংয়ের নাগরিকরা পর্যায়ক্রমে ব্রিটেনে এসে ৫ বছরের জন্য বসবাস করতে পারবেন। স্থায়ী বসবাসের জন্য কিংবা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব লাভের জন্য পরবর্তীতে আবেদনও করতে পারবেন।’
মূলত ১৯৮০ সাল হতে হংকংয়ের নাগরিকদের জন্য ব্রিটিশ ন্যাশন্যাল ওভারসিজ পাসপোর্ট ইস্যু করে সরকার। যাতে ভিসা ছাড়াই যে কেও ৬ মাসের জন্য যুক্তরাজ্যে সফর করতে পারেন হংকংয়ের নাগরিকরা। যদিও তা পরবর্তীকালে কিছুটা কাটছাঁট করা হয়।
নতুন করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ ন্যাশনাল ওভারসিজ পাসপোর্টধারী ও তাদের ওপর নির্ভরশীলরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজ ও পড়ালেখার সুযোগসহ ৫ বছরের জন্যে ব্রিটেনে বসবাসের সুযোগ পাচ্ছেন।
এদিকে ব্রিটেনের এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ চীন। দেশটির পক্ষ হতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলার বেইজিংয়ের সর্বোচ্চ আইন পরিষদ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটি (এনপিসিএসসি) সর্বসম্মতিক্রমে হংকংয়ের জন্য বিতর্কিত এই আইনটি পাস করে। পরে এই আইনে স্বাক্ষর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এই আইনের মধ্যদিয়ে স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ের ওপর চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও ওই নগরীর স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আইন পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে হংকং। যেখানে পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা ধরপাকড়ও হয়।
এমন এক অবস্থায় হংকং নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই হংকং ইস্যুতে বেশ চাপের মধ্যে পড়লো চীন।
জানা গেছে, নতুন এই আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশী বাহিনীর সঙ্গে আঁতাঁত নিষিদ্ধ করা হয়। সেইসঙ্গে এসব অপরাধ কেও করলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।
আইন পাসের পূর্ব হতেই সমালোচকরা বলে আসছিলেন যে, নতুন এই আইন হংকংয়ের পরিচয়কে আরও বড় ধরনের হুমকির সম্মুখীন করলো। তবে চীন বলছে যে, হংকংয়ে অশান্তি এবং অস্থিতিশীলতা মোকাবিলার জন্য এই আইন প্রয়োজন। সেইসঙ্গে এই বিষয়ে সমালোচকদের হস্তক্ষেপও প্রত্যাখ্যান করেছে চীন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।