দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চোখের পলকেই হবে আস্ত একটা মুভি ডাউনলোড! যখন দিনকে দিন সব কিছুই পাল্টে যাচ্ছে, তখন এমন স্পিডের কথা শুনলে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকে না।
চোখের পলকেই ডাউনলোড হয়ে যাবে আস্ত একটা মুভি! এক মিনিটও নয়, মাত্র এক সেকেন্ডের মধ্যেই হয়ে যাবে! তবে এই ডেটা স্পিড ফোর-জি, ফাইভ-জি, সিক্স-জি বা কোনো জি-টি নয়, Li-Fi -এর বদৌলতে এখন এসব সম্ভব হতে চলেছে। Wi-Fi এর বিষয়ে তো শুনেছেন। সে অর্থে, দুধের শিশুকেও আজকাল Wi-Fi কী তা বলে দিতে হয় না।
এই Wi-Fi কে সরিয়ে, অদূর ভবিষ্যতে যেটি জায়গা করে নিতে চলেছে, তার নাম Li-Fi। বলতে পারেন ওয়াই-ফাইয়ের সুপার-ফাস্ট এক বিকল্প। পরিকল্পনার স্তরে নয়, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত এবং হাতেনাতে প্রমাণিত হয়েছে। এটি এতোটাই জোরে ছোটে একটা পূর্ণদৈর্ঘ্যের সিনেমা ডাউনলোড হয়ে যায় সেকেন্ডের মধ্যে! স্পিড ১ GBps। হিসেব কষলে দেখা যাবে যে, বর্তমান ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি হতে ১০০ গুণ দ্রুততর কাজ করে এটি।
এই প্রযুক্তির নেপথ্যে রয়েছেন অধ্যাপক হ্যারল্ড হাস। এই Li-Fi দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছেন মূলত তিনিই, কারণ এটি তারই আবিষ্কার।
এই Li-Fi কী? এক কথায় বললে, বিশেষ ধরনের একটি আলো এটি। যা হতে নির্গত রশ্মির মধ্য দিয়েই তথ্য যায় বাতাসের ওপর ভর করে। ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কে এই আলোটিকে কাজে লাগিয়েই ডেটা পাঠানো হয়ে থাকে।
২০১১ সালে এডিনবর্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হ্যারল্ড হস এই প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেন। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে সিঙ্গল লেডের মাধ্যমে সেলুলার টাওয়ারের হতে বেশি ডেটা দ্রুত পাঠানো সম্ভব।