দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তেলের দাম কমার পর সাধারণ জনগণ ভেবেছিল গাড়ি ভাড়া কিছুটা হলেও কমবে। কিন্তু সে লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। গাড়িতে ভাড়া দেওয়ার সময় প্রশ্ন করলেই এক উত্তর ‘আমাদের গ্যাসের গাড়ি’! অর্থাৎ তেলের দাম কমার পর সব গ্যাসের গাড়ি হয়ে গেছে!
বাংলাদেশে দাম কমার এক ইতিহাস সৃষ্টি করে এবারই প্রথম কোনো পণ্যের দাম কমানো হয়। রবিবার দিবাগত রাত ১২টা হতে শুরু হয়েছে কমানো মূল্যে জ্বালানি তেল বিক্রি। ৩ থেকে ১০ টাকা প্রতি লিটার দাম কমানো হয়।
তেলের দাম বাড়লে রাতারাতি গাড়ি ভাড়া বেড়ে যায় তা অতিতে আমরা বহুবার দেখেছি। কিন্তু এবার তেলের দাম কমানোর পর গাড়ি ভাড়া এখন পর্যন্ত একটি টাকাও কমার কথা শোনা যায়নি। রাস্তায় চলাচলের সময় ভাড়া দিতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তর একটায় ‘আমাগো এইডা গ্যাসের গাড়ি স্যার’।
তেলের দাম কমার পর এভাবেই চলছে। যদিও সরকার আগেই বলেছিল তেলের দাম কমার পর ভাড়া কমবে। তবে সরকারি নির্দেশনা আসতে আরও কয়েকদিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। তবে সেই অপেক্ষার পর কয় টাকার ভাড়া কমে সেটিও দেখার বিষয়।
আমাদের দেশের ইতিহাস সব সময় অন্য কথা বলে। অতিতে দেখা গেছে, লিটার প্রতি ৫ টাকা যদি তেলের দাম বাড়লে খুব কম দূরত্বেও জনপ্রতি ৫ টাকা ভাড়া বাড়ানো হয়। অর্থাৎ তেলের দাম বাড়ার সময় গাড়ির মালিক ও চালকরা লাভবান হন। আবার এখন তেলের দাম কমানোর পরেও মালিক ও চালকরা লাভবান হচ্ছেন। জনগণের সেই একই অবস্থা। এমন এক পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের প্রশ্ন তাহলে তেলের দাম কমিয়ে কী লাভ হলো?
আমাদের দেশে সরকারি নীতির বড়ই অভাব। সরকারি নীতি ও আইন প্রয়োগ সঠিক হলে গাড়ির মালিকরা এভাবে জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবে না। গ্যাসের গাড়ি নাকি তেলের গাড়ি সেটিও সরকার চাইলে দেখতে পারেন। ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে চেক করতে পারে। চেক করলে কোনটি গ্যাসের গাড়ি আর কে কতো ভাড়া নিচ্ছে তা ধরা সম্ভব হতো। এখন পথ সেটিই। সরকারি নির্দেশনা আসার পর এই বিষয়টি বিবেচনায় আনা দরকার বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।