দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে গত জুলাই মাসে টুইটারে ইসলাম-বিদ্বেষী বার্তা অনেক বেশি পোস্ট করা ও লেখা হয়েছে। টুইটারে বার্তা বিশ্লেষণ করে বিবিসি এ কথা বলেছে।
বিবিসি দেখেছে, গত জুলাই মাসে পৃথিবীজুড়ে ইংরেজি ভাষায় প্রায় ৭ হাজার ইসলাম-বিদ্বেষী টুইটার বার্তা পোস্ট হয়েছে। যদিও অন্যান্য ভাষা মিলিয়ে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
এর ঠিক দুই মাস আগে গত এপ্রিল মাসে টুইটারে এই ধরনের (ইসলাম-বিদ্বেষী) পোস্টের সংখ্যা ছিল আড়াই হাজারের মতো। ফ্রান্সের নিস শহরে লরি আক্রমণ ও তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার পর হতে ইসলাম-বিদ্বেষী পোস্ট সবচেয়ে বেশি হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটারে ইসলাম-বিদ্বেষী পোস্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে যুক্তরাজ্য হতে। তারপর পর্যায়ক্রমে বেশি পোস্ট এসেছে যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস , ফ্রান্স ও জার্মানি হতে। ফ্রান্সের নিস শহরে জনতার উপর লরি তুলে দেওয়ার ঘটনা যেদিন ঘটেছিল সেদিন টুইটারে সবচেয়ে বেশি ইসলাম-বিদ্বেষী পোস্ট এসেছিল। এটির সংখ্যা ছিল ২১ হাজারের বেশি! মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গ্রুপ ওই হামলার দায় স্বীকার করে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক টুইট এসেছে তুরস্কের সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার ঠিক পরের দিন। এর সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ হাজারের মতো! যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষক কার্ল মিলার এই প্রবণতাকে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করছেন।
কার্ল মিলার বলেন, ‘টুইটারে এই ধরনের পোস্টগুলো উদ্বেগজনক, কারণ হলো এগুলোতে ইসলামিক স্টেটের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে দেখা যাচ্ছে মুসলমানদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে!’
লন্ডনের রুকাইয়া হারিস নামে একজন ছাত্রী টুইটারে বেশ সক্রিয়। তিনি জানিয়েছেন, ‘নিস শহরে হামলার মতো কোনো ঘটনা ঘটলে তিনি টুইটারে প্রচুর ম্যাসেজ কিংবা বার্তা পেয়ে থাকেন যেগুলো মূলত ইসলামকে নিন্দা করে লেখা হয়।’
রুকাইয়া হারিস বলেন, ‘আমি টুইটারে কি লিখছি সেটি বড় কথা নয়। তাদের অনেকেই ইসলামকে নিন্দা করে ও আমাকে অপমান করে টুইটার বার্তা পাঠায়। এমনকি আমার হিজাবকেও অপমান করে অনেক সময়।’
তবে টুইটারের এসব ইসলাম-বিদ্বেষী পোস্টের বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ হতে এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে প্রকাশিত ওই খবরে বলা হয়েছে।