দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবনের ৩০টি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন লোহার শিকলে বাঁধা অবস্থাতেই। এই দুই ভাই মানসিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসা খরচ না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের!
পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণে চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব নয় বলে লোহার শিকল দিয়ে তাদের বেঁধে রাখা হয়েছে ৩০ বছর ধরে।
এই মর্মস্পর্ষি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার রাজাজি কা কারোদা গ্রামে। দুই ভাইয়ের একজনের নাম গণেশ বয়স ৫২। অপজনের নাম উদয়লাল বয়স ৫০।
এক খবর বলা হযেছে, দুই ভাইকে প্রায় ৩০ বছর যাবত শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পর হতেই তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। দিনকে দিন অবসাদ তাদের গ্রাস করতে থাকে। তারপরই মাথায় সমস্যা দেখা দেয় তাদের। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাদের চিকিৎসা করানোও সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে ঘরের এক কোণে হাতে-পায়ে শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকেন গণেশ এবং উদয়লাল।
এক প্রতিবেশীর ভাষ্য হলো, গণেশ ও উদয়লালরা ৫ ভাই। তারমধ্যে একজন অসুস্থ দুই ভাইয়ের দেখাশোনা করেন। বাকি দু’জন পেশায় কামার এবং পিয়ন। মাঝে-মধ্যে গণেশ ও উদয়লাল হিংস্র হয়ে ওঠেন। তখন তাদের সামলানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্যই বেঁধে রাখা হয় তাদেরকে।
অসুস্থ দুই ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য আশপাশের বহু চিকিৎসককে দেখিয়েছেন তাদের অপর তিন ভাই। অসুস্থ ভাইদের চিকিৎসার জন্য জমিও বেঁচেছেন ভাইয়েরা। তাতেও কোনো ফল হয়নি।
বর্তমানে ভাইদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত টাকাও নেই তাদের। তাই শত কষ্ট সত্ত্বেও ৩০ বছর ধরে অসুস্থ দুই ভাইকে শিকলে বেঁধে রেখেছেন। এক অমানবিক অবস্থায় দিন কাটতে তাদের দুই ভাইয়ের!