দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিটি সুস্থ সবল মানুষও দিনে অন্তত কয়েকবার মৃত্যুর কথা ভেবে। মৃত্যু কিভাবে, কখন হবে এবং তার পর কী ঘটবে তা ভেবে বিচলিত হন না এমন মানুষ খুব বেশি পাওয়া যাবে না।
পত্রিকাতে প্রকাশিত গবেষণা-পত্রে বিষয়টি উঠে এসেছে। মৃত্যু পথযাত্রী ও সাধারণ ব্যক্তিদের মৃত্যু সম্পর্কিত লিখিত ধারণা পর্যবেক্ষণ করে উক্ত মতামত দিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষক গ্রে বলেন, “মানুষের বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। সাধারণভাবে আমরা কল্পনা করি মৃত্যু একাকীত্বে মোড়া অর্থহীন এক ব্যাপার। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী রোগী ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের লেখাগুলি ভালোবাসা, বন্ধন ও অর্থময়তায় পূর্ণ। ব্যাপারটি অনেকটা অপ্রত্যাশিত হলেও এক্ষেত্রে এমনটা হতেই দেখা গেছে।”
গবেষণাটি পরিচালনা করার জন্য গবেষকরা প্রথমে রোগে আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী কিছু ব্যক্তির ব্লগ পর্যবেক্ষণ করেন। পরবর্তীতে গবেষকরা সাধারণ কিছু ব্যক্তিকে নিজেদের মৃত্যুপথযাত্রী কল্পনা করে সে ব্যাপারে লিখতে বলেন।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সাধারণ ব্যক্তিদের তুলনায় মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের লেখায় ইতিবাচক অনুভূতি বেশি প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি দেখা যায় যে, রোগীরা যতো মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়, ততই মৃত্যু সম্পর্কে তাদের ধারণা ইতিবাচক হয়ে যায়।
গবেষণার পরবর্তী পর্যায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের লেখার সাথে সাধারণ ব্যক্তিদের – যাদেরকে একইভাবে নিজেদের মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে কল্পনা করতে বলা হয়েছিল – লেখার তুলনা করে দেখা হয়। এক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম ফলাফল পাওয়া যায়।
তবে গবেষকরা বলেছেন, স্বাভাবিকভাবে বয়সজনিত কারণে মৃত্যু হবে এমন ব্যক্তিরা মৃত্যু সম্পর্কে একই ধরনের ধারণা পোষণ করেন কীনা, সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নয়।