দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুবক্তা হওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে নতুনভাবে কিছু বলার নেই। সভা-মিটিং-সেমিনারে নিজেকে একজন সুবক্তা হিসেবে উপস্থাপন কে না করতে চায়? কিন্তু কিভাবে করবেন সেটি?
একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, আমরা সবাই সুবক্তা নই। অনেকের বক্তব্য দীর্ঘক্ষণ ধরে শুনতে ভালো লাগে, আবার অনেকের বক্তব্য কিছুক্ষণ শোনার পরই বিরক্তবোধ হতে থাকে। কেনো এমন হয়? কারণ হল সুবক্তাদের কিছু কৌশল। আসুন, তেমন কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বক্তব্যের প্রস্তুতি নিন
আপনি যে বিষয়ের উপর বক্তব্য দেবেন সেটি সম্পর্কে আপনাকে আগে ভালো ধারণা নিতে হবে। বক্তব্য যদি দীর্ঘ হয় তাহলে প্রস্তুতির উপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বক্তব্যে সব সময় নতুন কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে কাগজে শর্ট নোট করে বক্তব্যের সময় কাছে রাখুন।
শ্রোতাদের চোখের দিকে তাকান
বক্তব্য দেওয়ার সময় শ্রোতাদের চোখের দিকে তাকানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রোতাদের চোখের দিকে তাকালে আপনার প্রতি তাদের মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। তবে কথা বলার সময় নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির দিকে তাকাবেন না। ধীরে ধীরে মুখ ঘুরিয়ে সবার দিকে তাকানোর চেষ্টা করুন।
শ্রোতাদের মানসিক দক্ষতা বুঝে কথা বলুন
বক্তব্য দেওয়ার আগে শ্রোতারা কোন শ্রেণীর তা বোঝার চেষ্টা করুন। শ্রোতারা শিক্ষিত হলে আপনি যে কোনো বিষয়ের গভীরে গিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু শ্রোতদের শিক্ষার মাত্রা কম হলে এভাবে বক্তব্য দেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে সহজভাবে ধীরে ধীরে কথা বলতে হবে।
একই স্বরে কথা বলবেন না
সম্পূর্ণ বক্তব্যে গলার স্বর একই রকম থাকলে তা শুনতে বিরক্ত লাগে। এই ব্যাপারে তাই আপনাকে সচেতন হতে হবে। আপনার কথার বিষয়বস্তু আনুসারে আপনাকে মাঝে মাঝে গলার স্বর ওঠানামা করতে হবে। এতে করে আপনার বক্তব্যে এক ধরনের নাটকীয় ভাব আসবে এবং শ্রোতারা আকর্ষণ বোধ করবে।
‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’ কাজে লাগান
আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, মুখের ভাষার পাশাপাশি শরীরের ভঙ্গি দিয়েও অনেক মনের ভাব প্রকাশ করা সম্ভব। সুবক্তা হতে হলে আপনাকে জানতে হবে কীভাবে এটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়। বিশেষত হাত নাড়িয়ে মনোভাব প্রকাশের ব্যাপারে আপনাকে অত্যন্ত দক্ষ হতে হবে।