দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘটনাটি অনেকটা চমকে উঠার মতোই। কারণ বিষধর সাপ যদি কাওকে ছোবল মারে তাহলে তারপক্ষে বেঁচে থাক প্রায় দুষ্কর ব্যাপার। অথচ বিষধর সাপের ২০০ ছোবল খেয়েও দিব্যি বেঁচে আছেন এক ব্যক্তি!
কয়েকদিন আগে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে ফেসবুকে। ইতিমধ্যেই সেটি শেয়ার হয়েছে ২৬ হাজারেরও বেশি! কারণ হলো এমনই বিচিত্র এই ভিডিও-এর বিষয়বস্তু যে, দেখলেই যে কেও চমকে উঠতে পারেন। এক ব্যক্তি নিজের শরীরে নিয়ে চলেছেন একের পর এক বিষাক্ত বিষধর সাপের কামড়! এমন দুঃসাহসী ভিডিও দেখে সবাইতে হাঁ হয়ে যাবেন।
ওই ব্যক্তি কেনো এমন আশ্চর্যজনক ও বিপজ্জনক কাণ্ড ঘটাচ্ছেন? তিনি কী কোনও নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে চলেছেন? না, তাও না। নিছক বাহাদুরি দেখাতেই এমন কাজ করেন না অপেশাদার বিজ্ঞানী টিম ফ্রিডি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-এর বাসিন্দা টিমের উদ্দেশ্য অবশ্য মহৎ। তার বক্তব্য হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর দংশনের চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার জন্যই তিনি এমন ঝুঁকির কাজ করছেন।
৩৯ বছর বয়সী টিমের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি অবশ্য নতুন নয়। ‘বিস্ট বাডিজ’ নামে ওই পেজে ২৩ মে ভিডিওটি শেয়ার করা হলেও এটি প্রায় আড়াই বছর আগের পুরনো। ওই ভিডিওতে বলা হয়, টিম প্রায় ১৬০ বার স্বেচ্ছায় সাপের ছোবল খেয়েছেন তার নিজের শরীরে।
জানা যায়, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংখ্যাটা ১৬০ হতে বেড়ে হয়েছে ২০০! গত দু’দশক ধরে এই নিয়ে গভীর গবেষণায় মত্ত আছেন টিম। এখানেই শেষ নয়, বিষধর সাপের চিকিৎসার জন্য নিরলস নিজের শরীরে ‘বিষ’ ধারণের অন্য খেসারতও দিতে হচ্ছে তাকে। ইতিমধ্যেই তার স্ত্রী বেথের সঙ্গে ডিভোর্সও হয়ে গেছে এই কারণে। তার স্ত্রীর বক্তব্য হলো, টিম নিজের স্ত্রী এবং সন্তানদের কখনই প্রাধান্য দেননি। সে কারণেই তিনি টিমকে ছেড়ে চলে গেছেন।
তারপরও টিম বদলাননি। নিজের গবেষণায় মত্ত টিমের লক্ষ্য এখন একটাই, সমস্ত বিষধর সাপের কবল হতে যেনো বাঁচানো যায় পুরো পৃথিবীর মানুষকে। আর সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন টিম। কেও যেনো তাকে থামানোর নয়।