দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৃত্যুকূপ হল এমন একটি জায়গা যেখানে প্রাণির বেঁচে থাকা অসম্ভব। পৃথিবীতে এবার এমনি একটি মৃত্যুকূপের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। ওমান উপসাগরের প্রায় অক্সিজেনশূন্য এই এলাকার আয়তন ৭৮ হাজার বর্গমিটারের বেশি যা স্কটল্যান্ডের থেকেও বড়। গবেষকেরা বলছেন, ওমান উপসাগরের ওই বিশাল জায়গায় কোনো প্রাণী টিকতে পারছে না।
আরব সাগরের অংশ ওই জায়গা আগে অপেক্ষাকৃত ছোট থাকলেও ধীরে ধীরে এর আয়তন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। লন্ডনের ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওমানের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ওই বৃহৎ এলাকার আঞ্চলিক মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং জলদস্যুদের কারণে এর আগে সেখানে কোন গবেষণা চালানো সম্ভব হয়নি। তবে সমস্যা নিরসণের পর সম্প্রতি সেখানে গবেষণা চালালে এই আজব তথ্য পাওয়া যায়।
গবেষকেরা ওই অঞ্চলে রোবট পাঠিয়ে দেখেন, সেখানে অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম। এ কারণে কোনো মাছ তথা প্রাণিকুল সেখানে টিকতে পারছে না। সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য গবেষকেরা ওই অঞ্চলে সিগ্লাইডার্স নামের রোবট ব্যবহার করেছেন। এই রোবট পানির ১০০০ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারে। গবেষকরা বলেন, মৃত্যুকূপের এমন কিছু জায়গার তারা সন্ধান পেয়েছে যেখানে কোন অক্সিজেনই নেই। প্রাণিকূলকে বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন আবশ্যক। আর এই বৃহৎ এলাকাই অক্সিজেন শূণ্যতার কারণেই কোন প্রাণি এখানে বেঁচে থাকতে পারছে না।
বিশ্বের অন্যান্য সাগরে ২০০ থেকে ৮০০ মিটার গভীরতায় পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে। তবে এই এলাকাই অক্সিজেন তার থেকেও অনেক কম। তারা বলেন , এই বিপর্যয় শুধু সমুদ্রগর্ভেই প্রভাব ফেলবে না, ভবিষ্যতে এর আশপাশের উপকূলীয় অঞ্চলেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। গবেষকরা মনে করেন, এই বিপর্যয়ের জন্য একমাত্র জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী। তাই আবহাওয়া এবং জলবায়ু বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এই এলাকার আয়তন আরো বৃদ্ধি পাবে।