দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাপানে ধর্মীয় নেতাসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। জাপানের সাবওয়েতে ১৯৯৫ সালে সারিন গ্যাস হামলার দায়ে এদের অভিযুক্ত করা হয়।
জাপানের সাবওয়েতে ১৯৯৫ সালে সারিন গ্যাস হামলার দায়ে গতকাল (শুক্রবার) একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতাসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে জাপান সরকার। ১৯৯৫ সালের ওই হামলায় ১৩ জন নিহত এবং প্রায় ৬ হাজার মানুষ আহত হন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘আউম শিনরিকিয়ো’ নামে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতার নাম শোকো আসাহারা। আংশিকভাবে অন্ধ আসাহারা একজন যোগব্যয়ামের শিক্ষক ছিলেন। বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের কিছু বিশ্বাসের সঙ্গে মহাকালের শিক্ষা মিশিয়ে তিনি এক ধরনের ধর্মবিশ্বাস প্রচার করে আসছিলেন। জাপানের উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ওই আউম শিনরিকিয়োর সদস্য ছিলেন।
১৯৯৫ সালের মার্চে টোকিওর সাবওয়েতে সারিন গ্যাস হামলা হয়। আউম শিনরিকিয়োর সদস্যরা পলিথিন ব্যাগে করে সারিন ভরে সাবওয়ের বগিতে ফেলে রেখেছিলেন। এরপর ছাতা দিয়ে ফুটো করে পালিয়ে যায় তারা। ওই হামলার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়। আর আহত হয় কমপক্ষে ৬ হাজার মানুষ।
ওই হামলা চালানোর অভিযোগে গতকাল (শুক্রবার) সকালে প্রথমে আসাহারার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তারপর একে একে বাকিদেরও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বিভিন্ন জেলখানায় তাদের এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
জাপানে সাধারণত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর সেই খবর জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। দেশটির বিচারমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ৭ জনের নাম পড়ে শোনান। এই সময় তারা ‘খুবই নৃশংস’ কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন দেশটির বিচারমন্ত্রী।