দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোনো না কোনোভাবে বিতর্কের মধ্যেই থাকতে চান নির্বাসিত ও বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মাদার তেরেসাকে নিয়ে!
বাংলাদেশের নির্বাসিত ও বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এবার মাদার তেরেসার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ঝাড়খন্ডের একটি শাখার বিরুদ্ধে শিশু বিক্রির অভিযোগ ও তা নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ক্ষুব্দ হয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন যে, নোবেল জয়ী মাদার তেরেসা নানা ধরনের অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি একজন জালিয়াত ও দুষ্ট। বহু অমানবিক ও বর্বরোচিত কাজ করেছেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এই প্রতিষ্ঠাতা। শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা রয়েছে বলে এই ধরনের অপরাধীর পাশে দাঁড়ানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত এই লেখিকা বর্তমানে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। আর মাঝে মধ্যেই নানা বক্তব্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসেন।
রাঁচির নির্মল হৃদয়ের দুই সিস্টারকে গত ৫ জুলাই গ্রেফতার করা হয় শিশু বিক্রির অভিযোগে। সেই ঘটনাটির তদন্ত চলছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার মিশনারিজ অব চ্যারিটির বদনামের চেষ্টা করছে। সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও মনে করেন, মিশনারিজ অব চ্যারিটির নামে যে প্রচার চলছে তা সঙ্ঘ পরিবারেরই কাজ। এই বিতর্কের মাঝে তসলিমা নাসরিন যেভাবে মিশনারিজের সমালোচনা করেছেন তাতে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তসলিমা নাসরিন দাবি করেছেন, কোলকাতার এই সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই শিশুর পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তার মতে, মাদার তেরেসা হোম হতে শিশু পাচার হয়ে আসছে, এটা নতুন কিছু নয়। একইসঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন যে, মাদার তেরেসা অনেক রকমের অনৈতিক, অমানবিক, খারাপ, জালিয়াতি এবং বর্বরোচিত কাজের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মাদার তেরেসা কোলকাতায় এসে নিজেকে দুঃস্থ ও আর্ত মানুষের সেবায় নিযোজিত করেছিলেন। পরে গড়ে তোলেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি। সারাবিশ্বে এই সংস্থাটির কয়েক’শ শাখা রয়েছে। ১৯৭৯ সালে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পান মাদার তেরেসা। তার পরের বছর তাঁকে ভারতরত্ন উপাধিতে সম্মানিত করা হয়।