দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সব কিছু গরম গরম খাওয়ার মজায় আলাদা। বিশেষ করে গরম চা এবং কফি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। তবে মাঝে মাঝে আবার এই মজা নিতে গিয়ে জিহ্বা পুড়ে যাওয়ার দুর্ভোগও পোহাতে হয়। এভাবে প্রতিনিয়ত জিহ্বা পুড়তে থাকলে আমাদের জিহ্বার কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।
হাজারো সতর্কতার পরও মাঝে মাঝে জিহ্বা পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া জিহ্বায় প্রচুর জ্বালাপোড়া হয়। এ সময় কিছু খেতেও পারা যায় না। আজ আমরা জানবো জিহ্বা পুড়ে গেলে আমাদের কী করণীয়।
১। পুড়ে যাওয়া জিহ্বা জ্বালাপোড়া কমাতে বরফের টুকরো অনেক ভাল কাজ করে। এ ছাড়া মুখের মধ্যে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে কিছুক্ষণ
রাখা যেতে পারে। এর ফলে জ্বালাপোড়া কমবে এবং জিহ্বার কোষগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরতে সাহায্য করবে।
২। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহরোধী উপাদান, যা জ্বালাপোড়া ভাব ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সেই সাথে পরবর্তীতে
মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
৩। জিহ্বা পুড়ে গেলে মুখ গোল করে মুখ দিয়েই শ্বাস নিতে থাকুন। এতে মুখে ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকবে। সেই সাথে আস্তে আস্তে স্বস্তি
ফিরে আসবে।
৪। জিহ্বা পুড়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে দ্রুত মুক্তি পেতে দই অনেক ভাল কাজ করে। দই মুখের মধ্যে নিয়ে কয়েক সেকেন্ড রাখুন
তারপর খেয়ে নিন। দিনে কয়েকবার এভাবে দই খেলে দ্রুতই জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাবেন।
৫। অ্যালোভেরা হচ্ছে ব্যাথা এবং জ্বালাপোড়া নাশক একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এই উদ্ভিদটি আপনার জিহ্বার ব্যথা কমাবে এবং জিহ্বার
ভেতরে একটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব সৃষ্টি করবে।
৬। ১ঃ৮ অনুপাতে লবণ হাল্কা উষ্ণ পানির সাথে মিশিয়ে কিছুক্ষণ মুখের মধ্যে নাড়াচাড়া করুন। জ্বালাপোড়া এবং ব্যাথা ভাল হবে।
লবণ-পানি হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক যা প্রদাহ জনিত জ্বালাপোড়া এবং ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
৭। কিছুদিন বেশি গরম কোন খাবার খাবেন না। বেশি গরম খাবার আপনার জিহ্বার যন্ত্রণা বৃদ্ধি করবে। তাই জিহ্বা ভাল না হওয়া পর্যন্ত
বেশি গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৮। এই সময় এসিডিটিক কোন খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এসিডিটিক খাবার জিহ্বার পোড়া স্থানে যন্ত্রণা সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
৯। পর্যাপ্ত ঠান্ডা পানি পান করুন। ঠান্ডা পানি আপনার জিহ্বাকে শীতল রাখবে।
এই সমস্ত উপায়ে জ্বলাপোড়া এবং ব্যাথা ভাল না হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।