দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্ষমতায় আসার পর হতেই খবরের শিরোনামে রয়েছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সাবেক এই ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একের পর এক সিদ্ধান্তে চমক লাগিয়ে দিচ্ছেন।
ইমরান খান ভিআইপিদের সরকারি টাকায় বিমানের ফার্স্ট ক্লাসে যাত্রা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন। সবই ঠিকঠাক চলছিল তবে তিনি নিজে হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে নতুন এক খবরের শিরোনাম হয়েছেন। মজাটা ঠিক এখানেই, তার দাবি হলো হেলিকপ্টারে চড়লে নাকি খরচ হচ্ছে মাত্র ৫৫ টাকা!
ইমরান ক্ষমতায় এসেই মন্ত্রীদের সরকারি খরচের লাগাম টেনে ধরেছেন তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সরকারি টাকায় ইচ্ছেমতো নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কেওই ব্যবহার করতে পারবেন না। আধিকারিক হতে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী এমনকি প্রেসিডেন্টও তা পারবেন না। সরকারি টাকায় বিমানের প্রথম সারিতে ভ্রমণ করাও নিষিদ্ধ। মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এইসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
হঠাৎ করেই ইমরানের হেলিকপ্টার যাত্রার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়। তিনি নাকি পাকিস্তানেই এক বাড়ি হতে আর এক বাড়ি উড়ে যান হেলিকপ্টারে চড়ে। তার সঙ্গে থাকেন তৃতীয় স্ত্রী।
স্বাভাবিকভাবেই ওই খবরে ইমরানকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। যিনি সরকারি খরচ কমাতে চাইছেন, তিন কীভাবে হেলিকপ্টারে চেপে যাওয়ার বিলাসিতা দেখাচ্ছেন। তারপরই সেই প্রশ্নেরও ব্যাখ্যা দেন পাকিস্তান সরকার।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, চপার যাত্রা নাকি খুব সস্তার। প্রতি কিলোমিটারে এটিতে নাকি খরচ পড়ে মাত্র ৫৫ টাকা! গুগলে হিসেব কষে তা আবার তিনি দেখিয়েছেনও!
কিন্তু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের হিসাব একেবারেই ভিন্ন। তারা যে হিসেব দিচ্ছে, তাতে খরচ পড়ে প্রায় ৭ হাজার টাকার কাছাকাছি।
ইমরান খানের এই দাবিই বর্তমানে হাসির খোরাক সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেও বলছেন, উবারের থেকেও সস্তা নাকি হেলিকপ্টার? কেনো হেলিকপ্টারে এতো কম খরচ, সেই বিষয়টি ভেবে পাচ্ছেন না পাকিস্তানের জনগণ!