দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তার দেশ আর অন্যের হয়ে যুদ্ধ করবে না। পাকিস্তান ভবিষ্যতে কারও হয়ে কোনও যুদ্ধে নিজেকে জড়াবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ইমরান খান।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা ও সেনা-শহিদ দিবস অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন ইমরান খান। পাকিস্তান ভবিষ্যতে কারও হয়ে কোনও রকম যুদ্ধে নিজেকে জড়াবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আফগানিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান তাদের সঙ্গ দিচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগের আঙুল তুলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে সে অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যে ক্রমান্বয়ে আফগানিস্তান এবং আশেপাশের অঞ্চলে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ হতে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে, এতেই দেশটির প্রতি রুষ্ট হয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
তারই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানকে ৩০ কোটি ডলার সাহায্য বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে পাক-মার্কিন সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে ইমরান খানের এই বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিশানা করেই বলা হয়েছে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। ইমরানের ভাষায়, ‘‘আমি প্রথম হতেই যুদ্ধবিরোধী। বিদেশি রাষ্ট্রের হয়ে কোনওভাবেই যুদ্ধে যেতে চাইবো না।’’ পাকিস্তানের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনে নয়া বিদেশ নীতি গ্রহণেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইমরান খান।
ইমরান খানের দাবি, সন্ত্রাস দমনে পাক সেনাবাহিনীর মতো আত্মত্যাগ আর কেও কখনও করেনি। তাঁর কথায়, ‘‘সেনার এই আত্মত্যাগ কখনও বিফলে যাওয়ার নয়। পাকিস্তানকে আজ সত্যিই সব দিক হতে বিপন্মুক্ত করে রেখেছে আমাদের বাহিনী। দেশে এটাই একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেখানে রাজনীতির কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’’ অথচ পাক কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক মহলের সিংহ ভাগেরই অভিযোগ, ইমরানের মসনদ দখলের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী।