দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘সিংনাথিদায়’ পরিবারে নতুন এক সদস্য যুক্ত হয়েছে। দৈহিক গঠন, আকার, রং ও অদ্ভুত চরিত্রের জন্য এ পরিবারের মাছেরা চিরকালই মানুষের কৌতুহলের কারণ হয়েছে। পাইপফিশ, পাইপঘোড়া, সিড্রাগন এরা সবাই এ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এবার নতুন যোগ হলো সমুদ্রঘোড়া।
সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে এটিকে ‘জাপান পিগ’ বলে। যদিও জাপানে সমুদ্রঘোড়া নতুন নয়। তবে এটি নতুন প্রজাতির, নতুন বৈশিষ্ট্যের।
জাপান পিগ সমুদ্রঘোড়া প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এ পর্যন্ত সাতটির সঙ্গে পরিচিত হওয়া গেছে। এরা ছোট সাইজের জন্য বিখ্যাত। নতুন সমুদ্রঘোড়াটি মাত্র ১৫ মিলিমিটারের কাছাকাছি। এত ক্ষুদ্র যে, এ সমুদ্রঘোড়া একটি চালের দানার সমান! খবর ট্রিহাগার ডটকমের। ক্যালিফোর্নিয়া একাডেমি অব সায়েন্সের মীনবিদ্যাবিশারদ গ্রাহাম শর্ট বলেছেন, এটা এত ছোট যে আমার নখে দুই-তিনটা এঁটে যাবে।
নতুন এ প্রজাতি নিয়ে যে গবেষণা চালানো হয়, গ্রাহাম তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন।
এ সমুদ্রঘোড়া সম্পর্কে খুব কমই জানে মানুষ। জাপানে এদেরকে বেঁটে সমুদ্রঘোড়া হিসেবেও ডাকা হয়। যদিও এটা বিরল প্রাণী নয়, তবু এ প্রজাতিটি নতুন। গ্রাহাম বলেন, এ সমুদ্রঘোড়াগুলো খুবই সক্রিয়, মজার ও খেলাপ্রিয়। সমুদ্রের জীববৈচিত্রে এ সমুদ্রঘোড়াটি অনন্য উদাহরণ। জাপানের সমুদ্রে এ ধরনের প্রাণীর প্রাচুর্য রয়েছে। এখনও পর্যন্ত সিংনাথিদায় পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ৫৩ প্রজাতির প্রাণী পাওয়া গেছে সেখানে। এর মধ্যে দশ প্রজাতির সমুদ্রঘোড়া রয়েছে, যাদের চারটি আবার সত্যিকার অর্থেই ক্ষুদ্র।
গ্রাহাম আরো জানান, দৈহিক উচ্চতায় ক্ষুদ্রাকৃতি, রঙের বৈচিত্র তাদেরকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। এ প্রজাতির সমুদ্রঘোড়া সত্যিই অসাধারণ। তুলনামূলক বড় সমুদ্রঘোড়া সাধারণ অ্যাকুরিয়ামে রাখা যায়। অ্যাকুরিয়ামে রাখা এসব সমুদ্রঘোড়া ব্যবসার জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণ ঐতিহ্যগত চাইনিজ ওষুধ। নতুন প্রজাতির এ সমুদ্রঘোড়াকে খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল বলেও জানান তিনি।