দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের মমি উদ্ধারের খবর আমরা মাঝে-মধ্যেই দেখতে পায়, কিন্তু বিড়ালের মমি উদ্ধারের ঘটনা মনে হয় এটিই প্রথম। এমন খবর ওয়েব দুনিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে। মিসরে উদ্ধার করা হয়েছে ৬ হাজার বছর পূর্বের বিড়ালের মমি।
সত্যিই বিড়ালের মমির সন্ধ্যান একটি ব্যতিক্রমি ঘটনা। মানুষের মমি উদ্ধারের খবর আমরা মাঝে-মধ্যেই দেখতে পায়, কিন্তু বিড়ালের মমি উদ্ধারের ঘটনা মনে হয় এটিই প্রথম। এমন খবর ওয়েব দুনিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে। মিসরে উদ্ধার করা হয়েছে ৬ হাজার বছর পূর্বের বিড়ালের মমি।
মিসরের প্রত্নতত্ত্ববিদরা কায়রোর দক্ষিণে সাকারা শহর হতে ৬ হাজার বছরের পুরনো বিড়ালের মমি উদ্ধার করেছেন। দেশটির দক্ষিণ পিরামিড সাইটের প্রান্তে সমাধি হতে বিড়ালের অনেকগুলো মমি আবিষ্কৃত হয়। প্রাচীন মিসরীয়রা বিশ্বাস করতেন যে- ‘মৃত্যুর পরের জীবনে বিড়াল এবং অন্য প্রাণীরা বিশেষ অবস্থান পেয়ে থাকে।’ সেজন্য প্রাচীন মিসরীয়রা সে সময় দেবতা হিসেবে বিড়াল পূজা করতো।
মিসরের প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রী খালেদ এল-এনি বলেছেন, গত এপ্রিল মাসে খনন কাজ পরিচালনা করে প্রত্নতাত্ত্বিক মিশন এই মমি আবিষ্কার করেছিলো। বিড়ালের জন্য ৩টি সমাধি ব্যবহার করা হয়। তবে ৪টি শবাধার এক জায়গায় পাওয়া যায়নি।
সাকারা এলাকার পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, ওই সমাধিস্থলে প্রাচীনকালের পঞ্চম রাজবংশের সমাধির দরজাটিও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। বিশেজ্ঞরা এটি গবেষণার পরিকল্পনা করেছেন। মিসরের পুরাতত্ত্ব কাউন্সিলের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি বলেছেন, এই মিশনটি বিড়ালের প্রথম মমি আবিষ্কার করলো।
মোস্তফা ওয়াজিরি আরও বলেন, আয়তকার চুনাপাথরের ভাস্কর্য শিল্প অলংকৃত প্রস্তর শবাধারে পাওয়া যায় দুটি মমি, ১টি কালো রঙের ৩টি গুবরে-পোকাবিশেষ কিছু দিয়ে সজ্জিত করা। অপরটি ভলডেড ঢাকনা দিয়ে পাওয়া যায়।
তবে এই বিড়ালের মমি উদ্ধারের পর গবেষকরা আরও গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। তারা মনে করছেন গবেষণা করা হলে প্রাচীন আরও অনেক ইতিহাস হয়তো উঠে আসবে।
উল্লেখ্য, প্রাচীন যুগের মানুষ মারা যাওয়ার পর বিশেষ করে রাজা-বাদশাহরা মারা যাওয়ার পর তাদের দেহ মমি করে রাখতো। আর মিসর হচ্ছে সেই মমির জন্য একটি বিখ্যাত দেশ। মিসরে এ যাবতকাল যেসব মমি পাওয়া গেছে সেগুলোও প্রাচীনতম মমি। এইসব মমির কারণে প্রাচীন ইতিহাস উঠে আসে। অনেক কিছুই জানা যায় এই মমি গবেষণা করে।