দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন কাজাখস্তান সফর কালে সোমবার কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভের সাথে ১ বিলিয়ন ডলারের এক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করেন। ক্যামেরন হচ্ছেন প্রথম কোন ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী যিনি মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তান সফর করলেন।
কাজাখস্তান কাসপিয়ান সাগরের তীরবর্তী তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। মূলত ইউরোপীয় দেশ সমূহে এ অঞ্চল থেকে জ্বালানি রপ্তানি করা হয় বেশী।
বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, “আমার পাকিস্তান থেকে বিমানে কাজাখস্তানের উদ্দেশে যাত্রা করতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে ১ ঘন্টা বিলম্ব হয়, এ বিষয়ে আমি প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভকে দুঃখ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করলে তিনি আমাকে জানান তিনি বিগত ২০ বছর যাবত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষা করছেন অতএব এক ঘন্টা বিলম্ব তেমন কোন বিলম্ব নয়। এ ব্যাপারে আমি তাঁর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এবং কাজাখস্তানে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।“
উল্লেখ্য কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নুরসুলতান ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজাখস্তানের ক্ষমতায় আছেন। তাঁর এই দীর্ঘ শাসন কালে ক্যামেরন প্রথম কোন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি কাজাখস্তান সফর করলেন।
বর্তমানে নুরসুলতানের অধীনে কাজাখস্তানের রয়েছে মধ্য এশিয়ার সর্বচ্চ ২০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিক শক্তি। দেশটিতে খনিজ সম্পদ তেল ও গ্যাসের বিশাল মজুত রয়েছে।
ক্যামেরন জানায় তাঁর এ সফর মূলত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রথম পদক্ষেপ, এ-৩০ ভুক্ত দেশ সমূহের বাণিজ্য বিষয়ক কমিটি তাঁকে এ সফরে উদ্ভুদ্ধ করেছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন তিনি আশা করছেন তিনি কাজাখস্তান সরকারকে বুঝাতে সক্ষম হবেন আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ আর্মির যুদ্ধের সরঞ্জাম সমূহ আগামী বছর কাজাখস্তানের ভেতর দিয়ে স্থানান্তর করতে সহায়তা দেবার বিষয়টি।
এর আগে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ডেভিড ক্যামেরন কে খোলা চিঠিতে জানায়, “অর্থনীতির দোহাই দিয়ে ব্রিটেন মানবাধিকারের চেয়ে বাণিজ্যকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কাজাখস্তানের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি আশংকা জনক ভাবে খারাপ, তাই এ দেশের সঙ্গে ব্রিটেনের এখন বাণিজ্যচুক্তি করা কোনভাবেই উচিত নয়।“
তথ্য সূত্রঃ ভয়েজ অব অ্যামেরিকা।