দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ কায়রো থেকে ২৪০ মাইল দূরে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সন্দেহে একটি হাঁসকে আটক করেছে।
সন্দেহভাজন হাঁসটির ডানার পালকের নিচে একটি বিশেষ বিদ্যুৎতিক ডিভাইস পাওয়া গিয়েছে যা কিনা গুপ্তচরবৃতির কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে প্রাথমিক ভাবে এমন সন্দেহ করা হয়েছে।
প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, “হাঁসটিতে পাওয়া ঐ ডিভাইসটি কোন গুপ্তচরের কাজে ব্যবহার করা হয়নি একই ভাবে এটিকে কোন বিস্ফোরকও বলা যাবেনা। এটি বন্য পশু পাখি জরিপের কাজে ব্যবহার হওয়া কোন ডিভাইস হয়ে থাকতে পারে।“
হাঁসটিতে যে ডিভাইস পাওয়া গেছে সেটি আসলে একটি বন্য জীবনের উপর ফ্রান্সের একটি গবেষণা প্রকল্পের অংশ। ফ্রান্স এর ঐ প্রকল্পে আওতায় কর্তৃপক্ষ পাখিদের স্থানান্তর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করছেন ফলে তাঁরা কিছু পাখি এবং হাসের গায়ে এই জাতীয় শনাক্তকারী ডিভাইস সংযুক্ত করেছেন।
এদিকে পশু বিশেষজ্ঞ আবুল্লাহ বলেন, ”এই ডিভাইসটি তখনই বন্ধ হয়ে গেছে যখন হাঁসটি ফ্রান্সের বর্ডার ক্রস করে এসেছে। এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই “
বর্তমানে মিশরে জনগণের মাঝে অস্থিরতা এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। মিশরের জনগন যেকোনো রকম বিদেশী ডিভাইস কিংবা সদৃশ কোন বস্তু দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
এবছরেই মিশরের পুলিশ একটি পায়রার সাহায্যে ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি সংগ্রহের দায়ে মামলা নথী ভুক্ত করেন।
যদিও এখন পর্যন্ত মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত হতে পারেনি ঐ হাঁস কিংবা পায়রা আসলেই কারো পক্ষ হয়ে মিশরে গুপ্তচর বৃতির কাজে ব্যবহার হয়েছে কিনা।
সূত্রঃ মেট্রো।