দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ মাইকেল ক্যাম্পবেল নামের এক হেলিকপটার চালক হাডসন নদীর উপরে ভয়াবহ হেলিকপটার দুর্ঘটনায় কবলিত হওয়ার পরও ৪ যাত্রী সহ অল্পের জন্য বেঁচে যান। মূলত মাইকেল ক্যাম্পবেলের সাহসী ভূমিকার কারণেই তাঁরা সবাই বেঁচে যান।
ক্যাম্পবেল জানান তিনি হঠাৎ হেলিকপটারের ইঞ্জিনে ভংকর বিকট শব্দ শুনতে পান, তাৎক্ষনিকভাবে তিনি ভাবেন হয়ত কোন পাখি অথবা অনন্য কোন উড়োযান তাঁদের হেলিকপটারের ইঞ্জিনে আঘাত করেছে।
ক্যাম্পবেল বলেন, “ আমি শব্দ শোনার পরই বুঝতে পেরেছিলাম হেলিকপ্টারের কথাও অবশ্যই গণ্ডগোল হয়েছে, আমার যাত্রীরাও ততক্ষণে বুঝতে পারেন যে তাঁরা বিপদের মাঝে আছেন। তবে আমি তাঁদের শান্ত থাকতে আহ্বান জানাই কারণ একজন চালক হিসেবে সে সময় আমার দায়িত্ব ছিল সবার মাঝে যেন অস্থিরতা না বাড়ে।“
মূলত হেলিকপ্টার চালক ক্যাম্পবেল জানতেন তাঁকে ওই সময় কি করতে হবে এবং কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। ক্যাম্পবেলের হেলিকপ্টারের অটো-রোটেশন সম্বন্ধে ও ভাল ধারণা ছিল।
অটো-রোটেশনে হেলিকপ্টার থেকে এর পাখার সংযোগ বন্ধ করে দিতে হয় এতে হেলিকপ্টার স্থির ভাবে নিচে নেমে যায়।
ক্যাম্পবেল বলেন, “আমরা প্রশিক্ষণের সময় যদি হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন বিকল বা এতে কোন ত্রুটি দেখা যায় তবে অটো-রোটেশন কিভাবে কাজে লাগাতে হবে তা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করেছি। যখনি আমার হেলিকপ্টারে সমস্যা দেখা দিল আমি প্রশিক্ষণের সময়টাতে যা শিখেছি তাই কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছি এবং আমার যাত্রীদের নিরাপদে অবতরণ করাতে সচেষ্ট হয়েছি“
অবশেষে সাহসী পাইলট তাঁর “বেল ২০৬ হেলিকপ্টার” টিকে হাডসন নদীর উপরে একটি নৌকার পাটাতনে সাবধানে অবতরণ করাতে সক্ষম হন এবং নিজের ও অন্য ৪ জন যাত্রীর জীবন বাঁচান।
ক্যাম্পবেল গর্বের সাথেই বলেন, ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় হেলিকপ্টারের অবতরণটি ছিল কিছুটা ধীর এবং আমি চেষ্টা করেছি যথেষ্ট সাবধানে নিচে নেমে আসতে। এর আগে আমি এমন অবস্থার সম্মুখীন হইনি।“
অভিজ্ঞ পাইলট টনি লুচ্চেস বলেন, “মাইকেল ক্যাম্পবেল যা করেছে তা সত্যি অসামান্য, সে দুর্ঘটনা থেকে যাত্রী ও তাঁর নিজের জীবন বাঁচাতে নিজের ক্ষমতার চেয়েও ৩০০% বেশী প্রচেষ্টার মাধ্যমে সবার জীবন বাঁচিয়েছে।“
সূত্রঃ ডেইলি নিউজ।