দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্লোজআপ ওয়ানখ্যাত কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ছেলে সানাউল্লাহ নূর সাগরকে বিয়ে করেছেন। সেই খবর গণমাধ্যমে সালমা নিজেই দেন জানুয়ারিতে। নতুন খবর হলো স্বামীর সাবেক স্ত্রীর নামে মামলা করবেন।
সালমার বিয়ের খবর অনেক পুরোনো তবে নতুন খবর হলো, সালমার স্বামীর এর আগেও বিয়ে হয়েছিল! সেই স্ত্রী সালমার বর্তমান স্বামী সানাউল্লাহ নূরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এ মামলা করেছেন।
প্রথম স্ত্রীর পরিবার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় সানাউল্লাহ নূরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। নূরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন প্রথম স্ত্রীর মা ( নূরের শাশুড়ি)। মামলায় সানাউল্লাহ নূরের বাবা সাখাওয়াত হোসেন এবং মা সুরাইয়াকেও আসামি করা হয়েছে। কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই মামলাটি দায়ের করেছেন সানাউল্লাহ নূরের প্রথম স্ত্রী পুষ্মীর মা দিলারা খানম।
মামলাটির নম্বর-২৫৪, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১১ (গ), ১১(গ)/৩০ ধারা। এই মামলায় সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূর ওরফে সাগর এবং তার বাবা-মা কে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এ.এইচ.এম. মাহমুদুর রহমান।
বাদি তার আর্জিতে উল্লেখ করেন যে, ২০১৪ সালের ৩ জুন সানাউল্লাহ নূরী সাগরের সঙ্গে তার কন্যা তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মী)’র ২০ লাখ টাকা কাবিনমূল্যে বিয়ে হয়। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ‘ল’ এর ছাত্রী তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মী) কে বিয়ের পর হতে বিভিন্নভাবে যৌতুকের জন্য সে চাপ দিতে থাকে এবং শারীরিক নির্যাতনও করতে থাকে। তার মা দিলারা খানম ৩ কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেছেন। সে টাকা দিয়ে সানাউল্লাহ নূরী সাগর লন্ডনে বারএট ল পড়ার জন্য ভর্তিও হন।
এই বিষয়ে সালমা জানান, ‘সাগরের আগের বিয়ের ডির্ভোস পেপার আমি দেখেছি। তাদের ডির্ভোস হয়েছে গত বছরই। তাহলে আবার স্ত্রীর দাবি করে মামলা করে কীভাবে? নারী নির্যাতনই বা হয় কি করে? এটা আমি মনে করি আমাদের ইজেমটাকে নষ্ট করার জন্য এমন করছেন তারা। যেহেতু আমার স্বামী দেশের বাইরে। সে ফিরে আসলেই বিষয়টির সমাধান ঘটবে। যেহেতু এমন খবরে আমার মানহানিও হচ্ছে, আমি যতোদ্রুত সম্ভব তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো।’
সালমা আরও বলেছেন, ‘আমার শশুরের সঙ্গে আমি কথা বলছি সব সময়। তারা বলেছেন এসব বানোয়াট খবর। আমি স্থানীয় থানায় কথা বলেছি। ওসি সাহেব বলেছেন সানাউল্লাহ নূরী সাগরের নামে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। তাহলে কেনো এই মিথ্যা হয়রানি করা হচ্ছে আমাদেরকে।’
সাগর লন্ডন হতে সালমার মাধ্যমে বলেন, ‘আমি খবরটি দেখেই সামলাকে কল করি। আমরা দু’জন হাসাহাসিও করেছি। যেহেতু আমি দেশের বাইরে রয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই আমি দেশে ফিরবো। তখন সব কিছুই পরিস্কার হয়ে যাবে।’