দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ঘর থেকে বের হতে লিফ্ট আর ঘরের বাইরে গেলেই রিক্সা কিংবা গাড়ি। অর্থাৎ হাঁটার ধার ধারি না। অথচ আগেকার আমলে রাজ-বাদশাহরাও অনেক সময় পায়ে হেঁটে চলেছেন। যেমন মহাত্মা গান্ধী নাকি ৭৯ হাজার কিমি পথ হেঁটেছিলেন!
হিন্দুস্থানের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ছিলেন নিরামিষভোজী। তাঁর ছিল হাজার রকমের রোগ। অর্শ ও অ্যাপেনডিক্স অপারেশন করেছিলেন। এমনই সব তথ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের তরফ হতে একটি বিশেষ পুস্তিকা ‘গান্ধী অ্যান্ড হেলথ্ অ্যাট ১৫০’।
তাঁর ওজন ছিল ৪৬.৭ কেজি। ব্লাড প্রেসার থাকতো ১৯০/১৩০। কখনও তা বেড়ে হয়ে যেতো ২২০/১১০। অনেক রাতেই ঘুম হতো না তাঁর। এছাড়াও বড় ধরনের আমাশাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন দুবার। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অন্তত তিনবার। ১৯১৯ সালে অর্শ এবং ১৯২৪ সালে অ্যাপেনডিক্স অপারেশন হয়েছিল তাঁর। হয়েছিল প্লিউরিসি। তাঁর ছিল গ্যাসট্রিকের অসুখ। আবার মাঝে মধ্যেই হতো ইনফ্লুয়েঞ্জা। এমনই সব তথ্য উঠে এসেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের গবেষণাতে।
মহাত্মা গান্ধীর স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি এমন ছিল, বেশ কয়েকবার মৃত্যু মুখ হতেই যেনো ফিরে এসেছিলেন তিনি। ‘গান্ধী অ্যান্ড হেলথ্ অ্যাট ১৫০’ বই-এ দাবি করা হয়েছে যে, ন্যাশনাল গান্ধী মিউজিয়ামে রাখা মহাত্মা গান্ধীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রেকর্ড হতে গান্ধীজির শরীর সম্পর্কে গবেষণা করা হয়েছে। ৭০ বছর বয়সেও তাঁর ওজন ছিল ৪৬.৭ কেজি। বডি মাস ইনডেক্স ছিলো ১৭.১।
এই অবস্থাতেও দিনের পর দিন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যান মহাত্মা গান্ধী। আইসিএমআর-এর প্রধান বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, এতো রোগে ভুগলেও কোনও দিন হাঁটার অভ্যাস ত্যাগ করেননি মহাত্মা গান্ধী। ১৯১৩ হতে ১৯৪৮ সাল, সব মিলিয়ে তিনি প্রায় ৭৯ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।