দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইমেইল বা ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের যেকোনো অ্যাকাউন্ট আমরা একটি গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করে থাকি। এমন কিছু পাসওয়ার্ড রয়েছে যা হ্যাকিং ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সাধারণত দেখা যায়, অনেকের পক্ষেই এতোগুলো অ্যাকাউন্টের পৃথক পৃথক পাসওয়ার্ড মনে রাখা সম্ভব হয় না। তাই তারা সহজ একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন প্রায় সবগুলো অ্যাকাউন্টেই।
সম্প্রতি নিরাপত্তা গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন, বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ একটি কমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে। আর সেটি হলো 123456।
ওই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, লাখ লাখ মানুষ নিজের ব্যক্তিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সংবেদনশীল অ্যাকাউন্টগুলোতে সহজে অনুমান করা যায় এমন কিছু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) -এর বিশ্লেষণ হতে জানা গেছে, যে সব অ্যাকাউন্ট সবচেয়ে বেশি হ্যাক হয়েছে বা সহজেই অপর কোনো ব্যক্তি অনুপ্রবেশ করতে পেরেছে সেই অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিলো 123456।
এই কমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে অনিরাপদ হয়ে পড়ে তথ্য সেক্টরটি। এই গবেষণাটি সাধারণ মানুষের সাইবার-জ্ঞানের স্বল্পতা কিংবা যে ফাঁকগুলো রয়েছে সেগুলো উন্মোচিত করতে সাহায্য করেছে। যা কিনা মানুষকে বড় ধরণের বিপদ এবং ভোগান্তির ঝুঁকি থেকে সরে আসতে সাহায্য করবে।
এনসিএসসি জানিয়েছে, তথ্যের নিরাপত্তায় একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হিসাবে একসঙ্গে ৩টি পৃথক পৃথক শব্দ, যেগুলো কিনা সহজেই মনে রাখা যায়, এমন শব্দ জুড়ে দিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সংবেদনশীল তথ্য হলো:
এনসিএসসির গবেষক দলটি তাদের প্রথম সাইবার জরিপের জন্য এ পর্যন্ত হ্যাক কিংবা অনুপ্রবেশ হওয়া অ্যাকাউন্টগুলোর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট পাবলিক ডাটাবেস বিশ্লেষণ করে দেখেছেন।
তারা বের করার চেষ্টা করেন যে, কোনো কোনো শব্দ, বাক্য ও সূত্রগুলো লোকজন তাদের পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেছিল। অনেকেই জন্ম তারিখ বা সাল ব্যবহার করেন মনে রাখার জন্য।
মানুষ ঘুরেফিরে হাতে গোনা কয়েকটি কমন পাসওয়ার্ড দিয়ে নিজেদের তথ্য সংরক্ষণ করে থাকেন। আর সেই পাসওয়ার্ডগুলোর তালিকার শীর্ষে ছিলো 123456। যেটা কিনা দুই কোটি ৩০ লাখেরও বেশি বার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় পাসওয়ার্ডটি হলো- 123456789। এর অর্থ দাঁড়ালো আরও ৩টি নম্বর বাড়তি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। নম্বর বাড়ালেও এই ধরণের পাসওয়ার্ড ভাঙা বা ক্র্যাক কর কঠিন কোনো বিষয়ই ছিল না। তাই এই ধরনের পাসওয়ার্ড কখনও ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।