দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শ্রীলঙ্কাতে সিরিজ বোমা হামলায় দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই হামলায় একাধিক নারী বোরকা পরে অংশগ্রহণ করেছিল বলে ধারণা করছে দেশটির গোয়েন্দারা। তাই নিরাপত্তার কারণে সেখানে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
বুধবার শ্রীলঙ্কার দৈনিক ডেইলি মিরর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার ইস্টার সানডেতে হামলার শিকার নানা ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত অনুযায়ী গোয়েন্দারা ধারণা করছেন যে, সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে বোরকা পরা নারীদের একটি বড় দল অংশগ্রহণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে বোরকা ও নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার।
দেশটির পার্লামেন্টের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, দেশে বোরকা নিষিদ্ধ করতে একাধিক মন্ত্রী প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে কথাও বলেছেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দেশের মসজিদ কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা শুরু করেছে শ্রীলংকা সরকার।
গত রবিবার দেশটিতে সিরিজ বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ৩৫৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও ৫০০ জন। সোমবার কলম্বোর একটি এলাকায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেখান থেকে সেনার নাগাল এড়িয়ে বহু জঙ্গি বোরকা পরে পালিয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে একটি সংবাদপত্রে।
উল্লেখ্য যে, শ্রীলঙ্কা স্বাধীনের পর হতে সেখানে মুসলিমদের মধ্যে বোরকার চলন ছিল না। তবে ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের পর এই দ্বীপরাষ্ট্রে এটি চালু করা হয়। যে কারণে এই বোরকাকেই জঙ্গিরা পালাবার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলেও ধারণা গোয়েন্দাদের।
সেখানে টানা ৮টি সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ শতাধিক মানুষ। গত রবিবার শ্রীলঙ্কার ৩টি গির্জা, ৩টি হোটেল ও আরও কয়েকটি স্থানে এই সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়।