দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে। সেখানকার ৬ বছর বয়সী এক শিশু চোট পাওয়া একটি মুরগীর বাচ্চাকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়ে হাজির হয়। এই ঘটনা সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সাইরাং অঞ্চলের ডেরিক সি লালচনহিম নামে ওই শিশুটি সাইকেল চালানোর সময় চাপা দেয় সেই মুরগীর বাচ্চাটিকে। এরপর মুরগীর প্রতি শিশুটির সহানুভূতি ও অপরাধবোধ হলে সে টাকা নিয়ে মুরগীর বাচ্চাটিকে বাঁচানোর জন্য স্থানীয় পশু হাসপাতারে ছুটে আসে।
প্রতিবেশীর মুরগির বাচ্চাটিকে সাইকেল চাপা দিয়ে অপরাধবোধে অনুতপ্ত শিশুটি তার কাছে যে টাকা ছিল তা হাতে নিয়েই মুরগির বাচ্চাসহ পার্শ্ববর্তী পশু হাসপাতালে ছুটে যায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির এক হাতে ছিল দশ টাকার একটি নোট ও অন্যহাতে সেই আহত মুরগীর বাচ্চা। এই ছবি এক ফেসবুক ব্যবহারকারী শেয়ার করার পর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যে প্রায় ২ লাখ মানুষ ছবিটির রিয়েকশন দিয়েছে। প্রায় ১১ হাজার মানুষ কমেন্ট করেছে পোস্টটিতে।
শিশুটির বাবা বলেছেন, যখন মুরগীটি আহত অবস্থায় দেখি, তখন প্রচুর রক্তও দেখা যায়। হাসপাতাল থেকে শেষমেষ ছোট্ট ডেরিক সুস্থ মুরগী নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেনি। তবে তার সহানুভূতি এবং অপরাধবোধ সবাইকে একবার হলেও ভাবিয়েছে।
২৪ ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই জানা যায় যে, মানবিকতার সেই স্বীকৃতিও পেয়েছে সে। মিজোরামের সাইরাংয়ের বাসিন্দা ডেরেক সি লালছানহিমাকে পুরস্কৃত করলো তারই স্কুল।