দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফ্রান্সের কান এখন যেনো এক উৎসবের নগরী। এই শহরের পালে দে ফেস্তিভাল ভবনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উসব শুরুর ঠিক আগে মূল প্রতিযোগিতার বিচারকরা হাজির হতে শুরু করেছেন। মাত্র ২১ বছর বয়সেই কানের বিচারক হলেন এল ফ্যানিং!
ফ্রান্সের কান এখন যেনো এক উৎসবের নগরী। এই শহরের পালে দে ফেস্তিভাল ভবনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উসব শুরুর ঠিক আগে মূল প্রতিযোগিতার বিচারকরা হাজির হতে শুরু করেছেন। তবে বিচারকদের মধ্যে এবার নজর কেড়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী এল ফ্যানিং। তিনি কানের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে বিচারকের আসনে বসার রেকর্ড গড়লেন।
ইতিপূর্বে কানে সবচেয়ে কম বয়সে বিচারক হওয়ার রেকর্ডটি দখলে ছিল কানাডিয়ান নির্মাতা-অভিনেতা হাভিয়ার দোলানের। ২০১৫ সালে ২৫ বছর বয়সে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের আসনে বসেছিলেন তিনি।
এবারের কানের ৭২তম আসরে প্রতিযোগিতা বিভাগে মূল বিচারক থাকছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেজ ইনারিতু। তার হাত ধরেই কান উৎসবের সঙ্গে এল ফ্যানিংয়ের সম্পৃক্ততা খুব ছোটবেলা থেকেই। ২০০৬ সালে কানের প্রতিযোগিতায় থাকা ‘বাবেল’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন এল ফ্যানিং। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর।
তারপর বেড়ে ওঠার পর ২০১৬ সালে কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে থাকা নিকোলাস উইন্ডিং রেফনের ‘দ্য নিয়ন ডেমন’ ছবিতে দেখা যায় অভিনেত্রী এল ফ্যানিংকে। এর ঠিক পরের বছর কানে পাম দ’রের দৌড়ে থাকা সোফিয়া কপোলার ‘দ্য বিগাইল্ড’ ছবিতেও অভিনয় করেন এল ফ্যানিং। একই আসরে আউট অব কম্পিটিশনে দেখানো হয় তার ‘হাউ টু টক টু গার্লস অ্যাট পার্টিস’ ছবিটি। এটি পরিচালনা করেছেন জন ক্যামেরন মিচেল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন এল ফ্যানিং। ইতিমধ্যে ৩০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন এল ফ্যানিং। এই তালিকায় রয়েছে ‘সুপার এইট’ (২০১১), ‘মেলফিসেন্ট’ (২০১৪), ‘টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ওমেন’ (২০১৬) প্রভৃতি ছবির নাম।
এবার প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক দলে রয়েছে ৪ মহাদেশের ৭টি ভিন্ন দেশের ৪ জন পুরুষ ও ৪ নারী। তালিকায় এল ফ্যানিংয়ের পাশাপাশি অন্য নারীরা হলেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর অভিনেত্রী পরিচালক মায়মুনা এনদাই, মার্কিন নির্মাতা কেলি রাইকার্ড (২০০৮ সালে আঁ সার্তে রিগারে নির্বাচিত হয় ‘ওয়েন্ডি অ্যান্ড লুসি’), গত বছর কানে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার জয়ী ইতালিয়ান নির্মাতা অ্যালিস রোরওয়াচার (হ্যাপি অ্যাজ ল্যাজারো) থাকছেন।
আরও আছেন অস্কার মনোনীত গ্রিসের পরিচালক ইওর্গেস লানতিমোস, কানের গত আসরে ‘কোল্ড ওয়ার’ ছবির জন্য সেরা পরিচালক প্রাপ্ত পোল্যান্ডের পাওয়েল পাওলিকস্কি, ২০১৭ সালে কানে গ্রাঁ প্রিঁ জেতা ফরাসি নির্মাতা রবিন ক্যাম্পিলো (১২০ বিপিএম-বিটস পার মিনিট) এবং ফরাসি গ্রাফিক ঔপন্যাসিক ও নির্মাতা এনকি বিলাল (ইমমর্টাল)।
উল্লেখ্য, বিশ্ব চলচ্চিত্রের বৃহত্তর আয়োজন কান উৎসবের ৭২তম আসর শুরু হয়েছে ১৪ মে। ওইদিন মার্কিন নির্মাতা জিম জারমাশের ‘দ্য ডেড ডোন্ট ডাই’ ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। ফরাসি ভূমধ্যসাগরীয় তটভূমিতে আগামী ২৫ মে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবেন প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকরা।