দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক।। অফিসের কাজে, ব্যবসা বাণিজ্য বা অন্যান্য যে কোন কাজে অনেক সময় বাইরে দু- চার দিন থাকতে হয়। আর বাইরে থাকা মানেই হোটেল ছাড়া বিকল্প কিছু চিন্তা করা যায়। তবে হোটেলে থাকা নিরাপদ মনে হলেও অনেক সময় একা একা হোটেলে থাকার সময় নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি বড় ধরণের বিপদও ঘটতে পারে। হোটেলে একা থাকতে গিয়ে নানা সমস্যার শিকার শুধু যে মেয়েরা হয় এমনটি নয়। ছেলে মেয়ে উভয়ই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তবে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে অনেকটা নিজেকে সেফ রাখতে পারেন।
১। হোটেল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহঃ
আপনি যে হোটেলে থাকার জন্য বুকিং দেওয়ার কথা ভাবছেন, প্রথমেই সেই হোটেল সুনাম কেমন এবং অন্যান্য ক্লাইন্টদের মন্তব্যগুলো চেক করুন। হোটেলের সার্ভিস ভাল হলে অবশ্যই সবাই ভাল মন্তব্য করবে।
২। হোটেলের সিকিউরিটি ব্যবস্থাঃ
কিছু হোটেলে রাতের বেলা সিকিউরিটি খুব ভাল থাকে না। ফলে নানা দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই সেই হোটেলের সিকিউরিটি ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিন।
৩। যে ফ্লোরে রুম ভাড়া নিবেনঃ
কখনই নিচের ফ্লোরে রুম ভাড়া নিবেন না। কারণ সন্ত্রাসীরা বা ডাকাত হামলা করলে প্রথমেই নিচের ফ্লোরে আক্রমণ করে। কারণ এই ফ্লোরে আক্রমণ করা সহজ। আবার বেশি উপরের ফ্লোরও নেওয়া উচিৎ নয়। কারণ ইমার্জেন্সি মূহুর্ত্বে সেখান থেকে সাহায্য পাওয়া খুবই কঠিন। তাই হোটেল বুকিং দেওয়ার সময় মাঝামাঝি ফ্লোরে বুকিং দিন।
৪। রাতে কেউ নক করলে রুম খুলবেন নাঃ
যেহেতু রুমে আপনি একা, আর ওইখানে আপনাকে ডাকার মত তেমন পরিচিত কেঁউ নেই। তাই রাতে যেই নক করুক না কেন রুম খুলবেন না। বেশি প্রয়োজন হলে সকালে আসতে বলে দিন। এমনকি যদি হোটেল ম্যানেজার বা হোটেল কর্তৃপক্ষের কেউ বলেও পরিচয় দেয়, তবুও রুম খুলবেন না। প্রয়োজনে হোটেলের ইমার্জেন্সি নাম্বারে ফোন দিয়ে আপনাকে খোঁজ করার আসল কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।
৫। প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের জানিয়ে রাখুনঃ
হোটেল বুকিং নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে, নিকট আত্মীয়কে, অফিসিয়াল হলে অফিসে অথবা যাকে জানানো প্রয়োজন তাকে ফোনে বা মেইল করে জানিয়ে রাখুন। আপনি সেখানে কখন পৌছালেন, এখন কোথায় সেটাও জানিয়ে রাখুন।
৬। ডাবল বেডের রুম ভাড়া নিনঃ
সিঙ্গেল থাকার জন্য ডাবল বেডের রুম ভাড়া নেওয়া একটি অন্যতম কৌশল। এতে অন্যরা আপনার রুমে ডাবল মানুষ আছে ভেবে ঝামেলা করতে সাহস পাবে না।
৭। রুমের চাবি গ্রহণ এবং প্রদানে সাবধানতা অবলম্বন করুনঃ
আপনি যখন রিসিপশন থেকে আপনার রুমের চাবি গ্রহণ করবেন বা বাইরে যাওয়ার সময় চাবি দিবেন, তখন হোটেল ম্যানেজার আপনার কাছে রুম নম্বর জানতে চাইলে তা আস্তে এবং সাবধানে বলুন যেন অন্য কেউ শুনতে না পারে। সেই সাথে ম্যানেজারকে বলে রাখুন অন্য কেউ আপনার রুম নম্বর জানতে চাইলে সে যেন না বলে।
৮। বাইরে হোটেলের নাম প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুনঃ
আপনি কোথায় আছেন তা অপরিচিত কাওকে বলবেন না। এমনকি ফোনে কথা বলার সময়ও সাবধানতা অবলম্বন করুন। কারণ হোটেলের আশপাশে অনেক ধরণের অসাধু লোক জন থাকে যারা আপনার ক্ষতি করতে পারে।
৯। রুমে প্রবেশের আগে লক্ষ্য রাখুনঃ
আপনি যখন রুমে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন, তখন যদি বুঝতে পারেন কেউ আপনাকে ফলো করছে, তবে তখন রুমে প্রবেশ করবেন না। আবার এমন ভাব করবেন না যাতে সে বুঝে যায় আপনি কোন রুমে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন। তাই সোজা হেঁটে অন্য পাশ দিয়ে নিচে নেমে যান বা উপরে উঠে যান। বেশি সন্দেহ মনে হলে ম্যানেজারকে অবহিত করতে পারেন।
১০। আপনার উপস্থিতিতে রুম ক্লিন করিয়ে নিনঃ
ম্যানেজারকে বলে রাখবেন আপনার অনুপস্থিতিতে যেন রুম পরিষ্কার না করা হয়। আপনি উপস্থিত থেকেই রুম ক্লিন করিয়ে নিন। এতে আপনার কোন জিনিস হারানোর ভয় থাকবে না।
এছাড়া বুকিং দেওয়ার সময় নিজেকে বিবাহিত পরিচয় দিতে পারেন। অর্থাৎ নামের আগে মিসেস বা মিস্টার লাগাতে পারেন। এতে বেশ কিছু ঝামেলা থেকে রেহায় পেতে পারেন।